৬০ বছর গান নিয়েই আছি। গানেই আমার যত আনন্দ: সাবিনা ইয়াসমীন
Published: 30th, January 2025 GMT
দেশের বরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন আবারও গান শোনাতে আসছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে গান শোনাবেন তিনি।
‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমীন: আমি আছি থাকব’- শীর্ষক এই পরিবেশনার মাধ্যমে এক বছরের বেশি সময় পর আবারও মঞ্চে ফিরছেন সাবিনা।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের এই আয়োজনে পরদিন শনিবারও একই মঞ্চে গাইবেন তিনি। এরপর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে গান শোনাবেন এই শিল্পী।
সাবিনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় পর গান নিয়ে মঞ্চে উঠছি। খুবই ভালো লাগছে। নিজের পছন্দের গানগুলোর পাশাপাশি শ্রোতাদের পছন্দের গানও গাওয়ার চেষ্টা করবো। এরইমধ্যে মহড়া করছি। মঞ্চে ওঠার আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিলাম আরকি।’
এরপর এই শিল্পী বলেন, ‘৬০ বছর গান নিয়েই আছি। গানেই আমার যত আনন্দ। সেই আনন্দের জায়গায় ফেরার অনুভূতি অন্য রকম।’
কয়েক দিন ধরেই বনানীর একটি স্টুডিওতে যন্ত্রীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন সাবিনা। এদিন অর্কেস্ট্রার সঙ্গে লাইভ পরিবেশনা হবে। যা শ্রোতাদের জন্য বাড়তি পাওয়া হবে।
বলা প্রয়োজন, ২০২৩ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে একাধিক স্টেজ শো করেন সাবিনা ইয়াসমীন। এরপর তাকে আর মঞ্চে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, অসুস্থতার কারণে গান থেকে দূরে ছিলেন সাবিনা ইয়াসমীন। ইচ্ছা করেই নিজের অসুস্থতার খবর জানাতে চাননি। ক্যানসারের চিকিৎসার পর নিয়মিত ফলোআপে সিঙ্গাপুর যেতে হয়েছে তাকে। চিকিৎসা শেষে গত মে মাসে ঢাকায় ফেরেন। এখন সুস্থ আছে এই শিল্পী।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।