দেশের বরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন আবারও গান শোনাতে আসছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে গান শোনাবেন তিনি।

‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমীন: আমি আছি থাকব’- শীর্ষক এই পরিবেশনার মাধ্যমে এক বছরের বেশি সময় পর আবারও মঞ্চে ফিরছেন সাবিনা।   

এইচএসবিসি বাংলাদেশের এই আয়োজনে পরদিন শনিবারও একই মঞ্চে গাইবেন তিনি। এরপর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে গান শোনাবেন এই শিল্পী।

সাবিনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় পর গান নিয়ে  মঞ্চে উঠছি। খুবই ভালো লাগছে। নিজের পছন্দের গানগুলোর পাশাপাশি  শ্রোতাদের পছন্দের গানও গাওয়ার চেষ্টা করবো। এরইমধ্যে মহড়া করছি। মঞ্চে ওঠার আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিলাম আরকি।’

এরপর এই শিল্পী বলেন, ‘৬০ বছর গান নিয়েই আছি। গানেই আমার যত  আনন্দ। সেই আনন্দের জায়গায় ফেরার অনুভূতি অন্য রকম।’

কয়েক দিন ধরেই বনানীর একটি স্টুডিওতে যন্ত্রীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন সাবিনা। এদিন অর্কেস্ট্রার সঙ্গে লাইভ পরিবেশনা হবে। যা শ্রোতাদের জন্য বাড়তি পাওয়া হবে।

বলা প্রয়োজন, ২০২৩ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে একাধিক স্টেজ শো করেন সাবিনা ইয়াসমীন। এরপর তাকে আর মঞ্চে দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, অসুস্থতার কারণে গান থেকে দূরে ছিলেন সাবিনা ইয়াসমীন। ইচ্ছা করেই নিজের অসুস্থতার খবর জানাতে চাননি। ক্যানসারের চিকিৎসার পর নিয়মিত ফলোআপে সিঙ্গাপুর যেতে হয়েছে তাকে। চিকিৎসা শেষে গত মে মাসে ঢাকায় ফেরেন। এখন সুস্থ আছে এই শিল্পী।  

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা