চীনের বসন্ত উৎসবের গালা উপভোগ করল বাচসাস
Published: 30th, January 2025 GMT
চীনের বসন্ত উৎসব বা চান্দ্র নববর্ষে সিএমজির ঐতিহ্যবাহী গালা উপভোগ করল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) কার্যনির্বাহী পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজির বাংলা বিভাগের আয়োজনে চীনা বসন্ত উৎসবের গালা উপভোগ করেন তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ, সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান রতন, সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান স্বর্ণা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুর ইসলাম লিটন, দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য রুহুল সাখাওয়াত, নিয়াজ মোর্শেদ শুভ ও সিনিয়র সদস্য দুলাল খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী। চীনের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দী বলেন, “চীনের বসন্ত উৎসব বা নববর্ষ উদযাপন আয়োজনে সবাইকে স্বাগত। এই ফেস্টিভ্যাল গালার মাধ্যমে চীনের ঐতিহ্য সম্পর্কে আরো জানার সুযোগ হবে।”
আরো পড়ুন:
ফের মধুমিতা সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা
মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী
বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, “আজকের আয়োজনের মাধ্যমে চীন সম্পর্কে আরো জানার সুযোগ হলো। চীনের ঐতিহ্য কয়েক হাজার বছরের পুরোনো। আজকের গালা উপভোগের মাধ্যমে চীনের গালা সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছি। দুর্দান্ত তাদের উপস্থাপনা।”
দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রসঙ্গ টেনে বাচসাসের সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, “সবাইকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজকের আয়োজন খুব উপভোগ করেছি। চীনের নববর্ষ উদযাপন দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অবদান রাখছে। সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে অবদান রাখতে পারে সিএমজি ও বাচসাস।”
এবারের আয়োজনে চীনের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেমন— ধাঁধা, চপস্টিক দিয়ে বাদাম উত্তোলন এবং রিং ছোঁড়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা। চীনের বসন্ত উৎসব, সিএমজির গালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সিএমজির নিউজ এডিটর শান্তা মারিয়া।
গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও চীনের গণমাধ্যমের মধ্যে বিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
সেসময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেছিলেন, “বাচসাসের জন্য এ এক বড় অর্জন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাচসাসের যাত্রা শুরু হলো।”
বলে রাখা ভালো, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) আয়োজিত ২০২৫ সালের চীনা বসন্ত উৎসব গালা নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানটি পেয়েছে মোট ১৬.
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র নববর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ ১৬০ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।
সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। ছাতা মাথায় দল বেঁধে ছুটছেন ক্লাসরুমের দিকে। কখনো এক ছাতার নিচে দু-তিনজন। কারও সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শ্রেণি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।
ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় এক সেমিস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে, তবে এখন আবার ক্লাস শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী।’ একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আম্মান বলেন, ‘অনেক দিন জীবনটা থেমে ছিল। আজকের দিনটা বিশেষ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন স্কুলজীবনের প্রথম দিনের মতো। সব হতাশা কাটিয়ে আমরা অনেকটা নতুন করে শুরু করছি।’
হুমায়ুন কবির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ে। পাঁচ মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ও মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিল। একসময় অসুস্থও হয়ে পড়ে। কুয়েটে এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে হয়তো আগেই খুলে যেত। তারপরও এখন অন্তত খুলেছে, এটা বড় স্বস্তি।’
কুয়েটের ছাত্র পরিচালক আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, আজ থেকে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো সব শিক্ষার্থী আসেননি। যাঁদের কেবল ক্লাস রয়েছে, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে ১৪ আগস্ট, ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই রাতেই তৎকালীন উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। এরপর কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির বিরোধিতার মুখে হজরত আলী দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন।
এরপর ১০ জুন নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী। পরদিন শুক্রবার তিনি খুলনায় এসে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ক্লাস শুরুর নোটিশ জারি করা হয়।