চীনের বসন্ত উৎসব বা চান্দ্র নববর্ষে সিএমজির ঐতিহ্যবাহী গালা উপভোগ করল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) কার্যনির্বাহী পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজির বাংলা বিভাগের আয়োজনে চীনা বসন্ত উৎসবের গালা উপভোগ করেন তারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ, সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান রতন, সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান স্বর্ণা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুর ইসলাম লিটন, দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য রুহুল সাখাওয়াত, নিয়াজ মোর্শেদ শুভ ও সিনিয়র সদস্য দুলাল খান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী। চীনের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দী বলেন, “চীনের বসন্ত উৎসব বা নববর্ষ উদযাপন আয়োজনে সবাইকে স্বাগত। এই ফেস্টিভ্যাল গালার মাধ্যমে চীনের ঐতিহ্য সম্পর্কে আরো জানার সুযোগ হবে।”

আরো পড়ুন:

ফের মধুমিতা সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা

মৌসুমী কাউকে ফাঁসিয়ে যায়নি: ওমর সানী

বাচসাসের সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, “আজকের আয়োজনের মাধ্যমে চীন সম্পর্কে আরো জানার সুযোগ হলো। চীনের ঐতিহ্য কয়েক হাজার বছরের পুরোনো। আজকের গালা উপভোগের মাধ্যমে চীনের গালা সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছি। দুর্দান্ত তাদের উপস্থাপনা।”

দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রসঙ্গ টেনে বাচসাসের সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, “সবাইকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজকের আয়োজন খুব উপভোগ করেছি। চীনের নববর্ষ উদযাপন দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অবদান রাখছে। সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে অবদান রাখতে পারে সিএমজি ও বাচসাস।”

এবারের আয়োজনে চীনের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেমন— ধাঁধা, চপস্টিক দিয়ে বাদাম উত্তোলন এবং রিং ছোঁড়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা। চীনের বসন্ত উৎসব, সিএমজির গালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সিএমজির নিউজ এডিটর শান্তা মারিয়া।

গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও চীনের গণমাধ্যমের মধ্যে বিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

সেসময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেছিলেন, “বাচসাসের জন্য এ এক বড় অর্জন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাচসাসের  যাত্রা শুরু হলো।”

বলে রাখা ভালো, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) আয়োজিত ২০২৫ সালের চীনা বসন্ত উৎসব গালা নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানটি পেয়েছে মোট ১৬.

৮ বিলিয়ন ভিউ। গত বছরের তুলনায় যা ১৮.৩১ শতাংশ বেশি। মোবাইলে ভিউ হয়েছে ৩৭ কোটি ২০ লাখ। এটিও আগের বছরের চেয়ে ৫২.৪৬ শতাংশ বেশি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র নববর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’