টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে (২০২৫-২০২৬) আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল এবং আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্যানেলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ জন্য বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সকল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে এ নির্বাচন পরিচালনার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোনায়েম হোসেন খান (আলম) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। নির্বাচনে মোট ১৪টি পদে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের কথা ছিল। 

বিএনপি-জামায়ত সমর্থিত প্যানেল থেকে এবার সভাপতি নির্বাচিত হলেন জহুর আজহার খান, আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন এ কে এম রফিকুল ইসলাম (রতন)।

আরো পড়ুন:

ফ্লিকের মাইলফলক স্পর্শের রাতে দুমাস পর জয়ের ধারায় বার্সালোনা 

‘৯’ গোলের মহারণে জয়ী বার্সা, চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে

এ বছর বার সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে নির্বাচনে মোহাম্মদ শামস্ উদ্দিনের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্যানেল মনোনয়নপত্র কিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা চাপের মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে এ বিদ্রোহী প্যানেলের প্রার্থীরাও একই পথে হাঁটেন। ফলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক বার সমিতিতে এসে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। এ নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী প্যানেলের সকল প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আওয়ামী প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ওয়ারেজ আলী মিয়া (নান্নু) ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন মীর মাহফুজুল ইসলাম শামীম।

আওয়ামী বিদ্রোহী প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ শামস্ উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ মহি উদ্দিন মিয়া (মামুন)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দরখাস্তে উদ্ভুত পরিস্থিতি, অসুস্থতা এবং পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোনায়েম হোসেন খান (আলম) বলেন, যে সকল প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সেই আবেদনগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। এতে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিধিমোতাবেক বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সকল প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে বার সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ নেতা অ্যাডভোকেট এ কে এম শামীমুল আক্তার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঢাকা/কাওছার/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমর থ ত প য ন ল ল গ সমর থ ত ত সমর থ ত প সকল প র র থ আওয় ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল 

বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।

তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • এনায়েত করিম ও গোলাম মোস্তফা পাঁচ দিন রিমান্ডে
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট 
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড