লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসা শেষ। এখন তিনি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে অন্যান্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন। দেশে ফেরা নির্ভর করছে তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর। ফেরার আগে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত চেকআপ করানো হবে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য লন্ডন থেকে শুক্রবার রাতে সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‌‘ম্যাডামের মূল চিকিৎসা শেষ বলা যায়। এখন ফলোআপ করতে হবে। ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনির সঙ্গে আনন্দে সময় পার করায় মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। তিনিও শিগগির দেশে ফিরতে চান। তবে তারেক রহমান চাচ্ছেন, ঈদুল ফিতর পর্যন্ত মাকে কাছে রাখতে। ফলে ম্যাডাম ঠিক কবে দেশে ফিরবেন, এটি তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যে যান। লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন তাঁর চিকিৎসা চলে। এর পর ২৪ জানুয়ারি রাতে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ফেরেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।

সম্প্রতি লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কিডনিতে কিছুটা সমস্যা থাকলেও উদ্বেগের কিছু নেই।

জানা যায়, খালেদা জিয়া না ফিরলেও সপ্তাখানেকের মধ্যে কয়েকজন সফরসঙ্গী চিকিৎসক দেশে ফিরবেন। এর পর তারা জুমে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। বাকি সদস্যরা শেষ পর্যন্ত থেকে যাবেন লন্ডনে।

দু’দিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.

এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া দেশে ফেরার জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব। তিনি বলেছেন, ‘চলো আমরা দ্রুত বাংলাদেশে ফিরে যাই। দেশই আমাদের জন্য ভালো’। জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ ছিলেন। তাঁর বেশ কিছু পরীক্ষা লন্ডন ক্লিনিক করেছে, যা আমরা করতে পারিনি। সেগুলোর রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। সেসব পাওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কত দ্রুত বাংলাদেশে ফিরবেন?

তিনি জানান, খালেদা জিয়া সার্বক্ষণিক অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে আছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বাসায় নিয়মিত ফলোআপ করছেন। যুক্তরাজ্যের নিয়ম মেনে বাসায় তাঁর চিকিৎসা চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’

এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ