সমীকরণে খুলনা টাইগার্সের সামনে খুব বেশি শর্ত ছিল না। জিতলেই সুপার ফোর। হারলে গ্রুপ পর্বে বিদায়। শেষ চারে নাম উঠবে দুর্বার রাজশাহীর। এই সমীকরণ অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের ব্যাটে পানির মতো সহজ করে জিতেছে খুলনা। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে টি-২০’র দ্বিতীয় সেরা ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১৯ বল থাকতে দলকে জিতিয়েছেন ৬ উইকেটে। 

এই জয়ে ১২ ম্যাচের ৬টিতে জিতে বিপিএলের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স। তাদের সমান ৬ জয় তুলে নিয়েছিল রাজশাহীও। কিন্তু নেট রান রেটে খুলনা এগিয়ে থাকা চতুর্থ দল হিসেবে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে তারা। ৩ ফেব্রুয়ারি এলিমিনেটর খেলতে নামবে মেহেদী মিরাজের দল।

মিরপুর স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ঢাকা ক্যাপিটালস। দলটির ওপেনার তানজিদ তামিম দারুণ এক ফিফটি করেন। কিন্তু অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানে আটকে যায় ঢাকা। দলটির অন্যতম মালিক শাকিব খান এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার হয়ে ওপেনার তামিম ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। বাঁ-হাতি এই ব্যটার ৭টি ছক্কার শট খেলেন। চার মারেন মাত্র একটি। দলটির সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন সাব্বির রহমান। তার ১৭ বলের ইনিংসে দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। এছাড়া লিটন দাস ১০ ও মেহেদী রানা ১৩ রান যোগ করেন। 

জবাবে ১৬.

৩ ওভারে জয় তুলে নেয় খুলনা। দলটির অধিনায়ক মিরাজ ৫৫ বলে ৭৪ রান যোগ করেন। পাঁচটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা তোলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। অ্যালেক্স রস খেলেন ১৯ বলে ২২ রানের ইনিংস। খুলনার হয়ে আগুনে বোলিং করেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। উইলিয়াম বসিস্টো ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল উইক ট দলট র

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ