দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, মিরপুর রোডে তীব্র যানজট
Published: 2nd, February 2025 GMT
বিদেশে চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আগারগাঁওয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।
রোববার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোড ও মিরপুর রোড বন্ধ করে তারা বিক্ষোভ করায় সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। বিক্ষোভে আহত ও তাদের স্বজনরা মিলে ২ শতাধিক মানুষ সুচিকিৎসাসহ অন্যান্য বিভিন্ন দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই তারা আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হসপিটাল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে তারা সড়কে নেমে আসেন।
এসময় সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকদলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
তারা বলেন, শনিবার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকা এবং অন্য হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আহতরা সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকদের দেখাতে আসেন। বিদেশি চিকিৎসকরা সবার অবস্থা ভালো বলছেন, তাহলে আমরা কেন চোখে দেখতে পাচ্ছি না। তারা শুধু বলছে, অল আর ওকে, অল ফাইন।
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আযম সমকালকে বলেন, গতকাল রাত থেকেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনে আহতরা। আজ শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোড ও মিরপুর রোড বন্ধ করে তারা বিক্ষোভ করছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ ব ক ষ ভ করছ ন ব ক ষ ভ কর
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।