পাবনার সুজানগরে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ছিনিয়ে নেওয়া ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম আবদুল ওহাব। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। জেলা শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা একটি মামলার আসামি তিনি।

ওসি বলেন, ‘‘পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সুজানগর থানার এসআই আজাহার আলী বাদী হয়ে সোমবার সকালে মামলা করেছেন। এর আগে, গত রাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আটককৃতদের মধ্যে ভিডিও ফুটেজে যাদের দেখা যাবে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’’

এর আগে, রবিবার বিকেলে আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওহাবকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স জ নগর ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ