সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির নতুন কমিটি
Published: 3rd, February 2025 GMT
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী এবং সদস্য সচিব আব্দুল আলিম চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন বিদ্যমান কমিটি বাতিল করে রহমতউল্লাহ পলাশকে আহ্বায়ক ও আবু জাহিদ ডাবলুকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠিত হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ খবর জানানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির বর্তমান আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে রয়েছেন, আহ্বায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হাসান হাদী, যুগ্ম-আহ্বায়ক তাজকিন আহমেদ চিশতী, যুগ্ম-আহ্বায়ক ড.
আরো পড়ুন:
কানাইপুরে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ৩০ বাড়ি ভাঙচুর
টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর, বিএনপি নেতার হুমকির অডিও ভাইরাল
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সাতক্ষীরা জেলায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ, কমিটি গঠন ও সম্মেলনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রহমতুল্লাহ পলাশ, আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, যুগ্ম আ্হাবয়ক তারিকুল হাসান, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি রায়, আয়নুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ।
এদিকে, রবিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী তার ফেসবুক পেজে জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে উল্লেখ করেছেন, ‘‘আমি আশাবাদী, নতুন নেতৃত্ব সাতক্ষীরা জেলায় দলকে সুসংগঠিত করে তৃণমূল পর্যায়ে বিকশিত করতে সক্ষম হবে।’’
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, ‘‘আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তার অনুসৃত আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিহার করে সকলেই সৃষ্টিশীল চেতনায় ধাবিত হবেন, এই বিশ্বাসে আমি বিন্দুমাত্র বিধান্বিত নই।’’
গত ১৬ জানুয়ারি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা বিএনপির অন্তর্গত ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা বিএনপির সম্মেলন সফল করতে চারটি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। একই সঙ্গে সব সম্মেলন শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে সাংগঠনিক টিম।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ গঠন ক ট ম ব এনপ র স ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা
নারী ক্রিকেটের বৈশ্বিক মঞ্চে আবারও আলো ছড়াতে প্রস্তুত হচ্ছে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যৌথভাবে ঘোষণা করেছে ২০২৬ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর তালিকা। ১২ জুন শুরু হয়ে এই ক্রিকেট উৎসব চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত, যার সমাপ্তি ঘটবে ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জমকালো ফাইনালের মাধ্যমে।
এই আসরে প্রথমবারের মতো ১২টি দল অংশ নিচ্ছে, যারা দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মোট ৩৩টি ম্যাচে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ২৪ দিনের রোমাঞ্চকর এক প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে।
টুর্নামেন্টের সূচি উন্মোচনের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় লর্ডসে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড, ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ চার্লট এডওয়ার্ডস এবং বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সাতটি ঐতিহাসিক ও আধুনিক ভেন্যুতে— লর্ডস (লন্ডন), ওল্ড ট্রাফোর্ড (ম্যানচেস্টার), হেডিংলি (লিডস), এজবাস্টন (বার্মিংহাম), হ্যাম্পশায়ার বোল (সাউদাম্পটন), দ্য ওভাল (লন্ডন) এবং ব্রিস্টল।
আরো পড়ুন:
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা
অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার
আগামী আসরে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল: স্বাগতিক ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাকি চারটি দল আসবে কোয়ালিফায়ার পর্ব পেরিয়ে, যেখানে বাংলাদেশসহ আরও বেশ কিছু দলকে লড়াই করতে হবে মূলপর্বে জায়গা পাওয়ার জন্য।
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এক বার্তায় জানান, “২০১৭ সালে নারী ক্রিকেট ইতিহাসে যে অধ্যায় লর্ডসে রচিত হয়েছিল, এবার আমরা সেই আবহে ফিরে যেতে চাই। ২০২৮ সালের অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির দিকেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ইসিবি প্রধান রিচার্ড গুল্ড বলেন, “আমরা গর্বিত যে বিশ্বের সেরা কয়েকটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারছি। নারী ক্রিকেটকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর লর্ডসে ফাইনাল আয়োজন—এটা প্রতিটি ক্রিকেটারের স্বপ্নপূরণের এক সম্ভাবনা।”
ঢাকা/আমিনুল