গবেষণা অনুদান পাচ্ছেন নোবিপ্রবির ৮৭ শিক্ষার্থী
Published: 3rd, February 2025 GMT
গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুদান পাচ্ছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১৩টি বিভাগের ৮৭ জন শিক্ষার্থী। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ (এনএসটি) বাবদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তারা প্রত্যেকে ৫৪ হাজার টাকা করে মোট ৪৬ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা পাবেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ বিষয়ে জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, খাদ্য ও কৃষি ক্যাটাগরিতে পাঁচজন,জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসা ক্যাটাগরিতে ৪৫ জন এবং ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৩৭ জন ফেলোশিপ পেয়েছেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে মাস্টার্সের গবেষণা বাবদ এ ফেলোশিপ পাবেন।
এদের মধ্যে ফার্মেসি বিভাগের ১৮ জন, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮ জন, ওশানোগ্রাফি বিভাগের ১০ জন, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের নয়জন, অ্যাপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের সাতজন, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের সাতজন, পরিসংখ্যান বিভাগের চারজন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চারজন, সিএসটিই বিভাগের তিনজন, ইইই বিভাগের দুইজন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের দুইজন, কৃষি বিভাগের দুইজন এবং এসিসিই বিভাগের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থ বছর থেকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ (এনএসটি) প্রবর্তন করা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী/গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়। মোট তিনটি গ্রুপে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে, ভৌত, জৈব ও অজৈব বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, নবায়নযোগ্য শক্তি বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ন্যানোটেকনোলজি লাগসই প্রযুক্তি; জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান; খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান।
নির্ধারিত কমিটি প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই ও আবেদনকারীগণের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’