কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকার মহাখালীর বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন, শাহেরা খাতুন (৮০), সাহারা বেগম (৫০), ফাতেমা বেগম (৪২), আছমা আক্তার (৪৮), আছমা বেগম (৩৫), রাফিয়া আক্তার (২৭), মুনতাহা আক্তার (২৭), আদিল মিয়া (৩০), নারায়ণ চন্দ্র দাস (৪৫), বাচ্চু মিয়া (৪০),  মারুফা খাতুন (১৭) মার্জিয়া খাতুন (১১), আব্দুর রহমান (৬), শারিয়া ইসলাম (৭), মৌসুমি আক্তার (৯), ইয়াছিন মিয়া (১২), তানজিল মিয়া (১০), ঈশান মিয়া (১৪), সুইটি আক্তার (১৬), জান্নাত আক্তার (৫), হোসাইন মিয়া (৮), রাইয়ান মিয়া (১০) ও রাতুল মিয়া (১৬)। বাকিদের নাম জানা যায়নি। কুকুরের কামড়ে আহতদেরকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা, মধ্যেরচর, রসুলপুরসহ পৌরসভার চণ্ডিবেড়, দড়িচণ্ডিবেড়, আমলাপাড়া ও ভৈরবপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে পাগলা কুকুর কামড়েছে। 

শিমুলকান্দির ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের আকলিমা আক্তার জানান, সোমবার তার ছেলে আরিয়ান মাঠে খেলা করে বাড়ি ফিরছিল। এমন সময় কুকুর কামড়েছে। চিৎকার শুনে তিনি ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে  গেছেন। পৌর শহরের আমলা পাড়ার রাহিমা খাতুন জানান, তার ছেলে হোসাইন বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় যেতেই কুকুরে কামড়েছে। কান্না শুনে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.

উম্মে হাবিবা জুঁই সমকালকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। দুজনকে মহাখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ স ব স থ য কমপ ল ক স উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম আবারো শুরু হয়েছে।

রবিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে।

গত ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে গতকাল ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত টানা ১০দিন ঈদের ছুটিতে এই স্থলবন্দরের সব ধরনের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তবে, এ সময় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।

আরো পড়ুন:

আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু

ভোমরা স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ 

ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান জানান, ঈদের ছুটি শেষে আজ রবিবার সকাল থেকে আবারো উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। 

ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুফাল দুলাল মন্ডল জানান, ভোমরা স্থলবন্দরে ঈদ উপলক্ষে ১০দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যথারীতি যাতায়াত করেছেন।

ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবু রাসেল আজাদ জানান, আজ থেকে শুরু হয়েছে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল, খাদ্যপণ্য, পেঁয়াজ, চাল, ফলমূল, কয়লা, মশলা ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই বন্দরটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

তিনি আরো জানান, ভোমরা স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন সরকারের প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়। 

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ