আজও শেয়ারবাজারের ছয় কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন
Published: 5th, February 2025 GMT
আজও শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছে। গতকাল তিনটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন হয়েছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আজ যেসব কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলো হলো— এশিয়াটিক ল্যাব, আফতাব অটো, নাভানা সিএনজি, এসআইসিএল, ওরিয়ন ফার্মা ও বিবিএস। এর মধ্যে বিবিএস জেড ক্যাটাগরি থেকে বেরিয়ে বি ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে, বাকি কোম্পানিগুলো জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে এশিয়াটিক ল্যাব ‘এ’ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। এসআইসিএল এন ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। এ ছাড়া আফতাব অটো, নাভানা সিএনজি ও ওরিয়ন ফার্মা এ ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। যেসব কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে, তারা মূলত সময়মতো লভ্যাংশ বিতরণ না করায় জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে এবং আর্থিক বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দেবে, সেসব কোম্পানিকে এ শ্রেণিভুক্ত করা হবে।
যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে, কিন্তু ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেবে, তাদের বি শ্রেণিতে রাখা হবে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে এন শ্রেণি এবং গ্রিনফিল্ড কোম্পানি তথা যেসব কোম্পানি উৎপাদনে আসার আগে তালিকাভুক্ত হবে, সেগুলোকে জি শ্রেণিভুক্ত করা হবে। আর যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে না, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে না, টানা ছয় মাসের বেশি যাদের উৎপাদন বন্ধ থাকবে, সেসব কোম্পানি হবে জেড শ্রেণিভুক্ত।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য এই শ্রেণিবিভাজন তৈরির পেছনে মূলত দুটি কারণ কাজ করেছিল। প্রথম কারণটি ছিল, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভালো ও মন্দ কোম্পানি বাছাইয়ে সহায়তা করা। দ্বিতীয় কারণটি হলো, শেয়ারের বিপরীতে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাই।
শেয়ারবাজারের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, এ, বি, এন ও জি শ্রেণিভুক্ত শেয়ারে ঋণসুবিধা দেওয়া হয়। তবে ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শুধু এসব শ্রেণিভুক্ত হলেই ঋণ পাওয়া যায় না। আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও হতে হবে ৪০-এর নিচে। আর নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও শ্রেণিবদলের ক্ষেত্রে প্রথম ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে ঋণসুবিধা বন্ধ থাকবে।
আজ বুধবার থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য সব ক ম প ন
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ছে। তবে এসব গাড়ি বাসা বা নির্দিষ্ট স্থানেই শুধু চার্জ করা যায়। ফলে দূরে ভ্রমণের সময় গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়েন অনেকেই। এ সমস্যা সমাধানে তারের সংযোগ ছাড়াই বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক’ চালু করেছে ফ্রান্স। প্যারিসের উপকণ্ঠে চালু হওয়া সড়কটিতে চলাচলের সময় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি, বাস ও ভারী ট্রাকের ব্যাটারি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার জন্য সড়কটিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সেটি ৩০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা টেসলার ভি থ্রি সুপারচার্জারের মতো বিশ্বের দ্রুততম চার্জারগুলোর সমান শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। এই সড়কের নিচে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য তামার কুণ্ডলী। এসব কুণ্ডলী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা বিশেষ রিসিভারযুক্ত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শক্তি স্থানান্তর করে। পদ্ধতিটি অনেকটা ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তির মতো, যেখানে পাওয়ার ব্যাংক বা চার্জিং প্যাডে মোবাইল ফোন রেখে চার্জ নেওয়া হয়। চৌম্বক ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ স্থানান্তর হওয়ায় ভারী বৃষ্টি, বরফ বা তুষারপাতেও চার্জিং প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। দ্রুত চার্জিং সুবিধার ফলে গাড়ি ও ট্রাক এখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে, মাঝপথে চার্জ নিতে থামার প্রয়োজন হবে না। ফলে গাড়িতে বড় ও ভারী ব্যাটারি বহনের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমে যাবে।
এরেনা ইভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্বয়ংক্রিয় চার্জিং সড়কে মাত্র কয়েক মিনিট চললেই বৈদ্যুতিক গাড়ির রেঞ্জ বা চলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। ফলে বৈদ্যুতিক গাড়ির দীর্ঘ যাত্রায় চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সমাধানে প্রযুক্তিটি নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। প্রযুক্তিটি যদি ব্যাপকভাবে চালু করা যায়, তবে তুলনামূলকভাবে হালকা, সাশ্রয়ী এবং কম ব্যাটারিসমৃদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে গাড়ির উৎপাদন খরচও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রিওনের তৈরি সড়কটির নকশাতেও রয়েছে বাড়তি সুবিধা। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার প্রযুক্তি রাস্তার ভেতরের অংশে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কম। ফ্রান্সের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার ওয়্যারলেস চার্জিং সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চলাচল আরও সহজ, কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব হয়ে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস