লিফলেট বিতরণকালে বন্দরে গ্রেপ্তারকৃত  ৪ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে   আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।  বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে  ফের আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আটককৃতদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞ আদালত প্রেরণ করলে আদালত  ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা  হলো বন্দর থানার কদম রসুল এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ড  আওয়ামীলীগের সেক্রেটারভ  মশিউর রহমান সুজু (৫০)  নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার মৃত শুক্কুর মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা ফারুক (৪৫) বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার আনু মিয়ার ছেলে  ২০নং ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবকলীগের   সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া (৪২) ও একই এলাকার জসিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে সাইদুল মোল্লা (৪৭)।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে , কেন্দ্রের নির্দেশনায় গত ২ দিন ধরে গোপনে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ও ২৩ নং ওয়ার্ডের  বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছিল আটককৃতরা । 

গত সোমবার রাতে নবীগঞ্জসহ সোনাকান্দা ও রুপালী এলাকায়  লিফলেট বিতরণ কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদেরকে  আটক করা হয়। পরে গতকাল এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও 'বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ'র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হলে মুহুর্তের মধ্যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ উল্ল্যেখিত ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে। 

উল্লেখ্য,গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলা কালিন বন্দর বাসস্ট্যান্ড হইতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বন্দর উপজেলা বিবিজোড়াস্থ মিনারবাড়ী এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে মাওলানা মো.

হাসান মাহমুদকে বন্দর শাহীমসজিদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের মোড়ে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

এ ঘটনায় আহত বাদী হয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর বন্দর থানায় যুবলীগ নেতা খাঁন মাসুদ, মো. ডালিম, আজিজুল হক, শেখ কামাল, সালাউদ্দিনসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো অজ্ঞাতনামা ১০০/১২০ জন আসামী করে এ 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৬৮ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত: হুতি

হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি আটককেন্দ্রে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির টিভি চ্যানেল আল মাসিরাহ জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি

আল মাসিরাহর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদা প্রদেশে অবস্থিত ওই আটককেন্দ্রে হামলার ফলে আরও ৪৭ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগের অবস্থা সংকটজনক। আল মাসিরাহ টেলিভিশন হামলার দৃশ্যের গ্রাফিক ফুটেজ প্রচার করেছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা বহু মরদেহ দেখা গেছে।

তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।

এই হামলার কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করার নির্দেশের পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

সেন্টকম জানায়, এসব হামলায় শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

হুতির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, মার্কিন হামলায় অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যদিও তারা হুতি সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম উল্লেখ করেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলার সময় সাদা প্রদেশের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসী ছিল।

১১ বছরের সংঘাতের কারণে ইয়েমেনে মানবিক সংকট সত্ত্বেও, অভিবাসীরা এখনও আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে নৌকায় করে ইয়েমেনে আসছে। তাদের বেশিরভাগের লক্ষ্য সৌদি আরবে পৌঁছে কাজ খোঁজা। কিন্তু বাস্তবে তারা শোষণ, আটক, সহিংসতা এবং যুদ্ধক্ষেত্র পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার মুখোমুখি হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

আইওএম আরও জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই প্রায় ৬০ হাজার ৯০০ অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই।

এর আগে মাসের শুরুতে হুতি-চালিত সরকার জানিয়েছিল, রেড সি উপকূলের রাস ইসা তেল টার্মিনালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, সেন্টকম জানায়, ওই হামলা রাস ইসার জ্বালানি গ্রহণের সক্ষমতা ধ্বংস করেছে, যা হুতিদের পরিচালনা এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতাকে হ্রাস করবে।

গত মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেন এবং হুতিদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার হুমকি দেন। তিনি ইরানকেও সতর্ক করেন, যাতে তারা হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ না করে। যদিও ইরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১
  • ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৬৮ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত: হুতি