বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ বলছে, খবর জানতে প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে মোবাইল বেশি ব্যবহার করেন মানুষ। ছাপা পত্রিকা কম পড়লেও পাঠক মোবাইলে অনলাইন সংস্করণ পড়ছেন। ৫৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণে খবর পড়েন। জরিপে অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা ছাপা পত্রিকা পড়েন না। কারণ হিসেবে ৪৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, খবরের কাগজ পড়ার প্রয়োজন মনে করেন না তাঁরা। টেলিভিশনের ক্ষেত্রে এই হার ৫৩ শতাংশের বেশি। তবে ৬৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা টেলিভিশন দেখেন।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতাদের মনোভাব জানার জন্য পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য জরিপটি করেছে বিবিএস। এ বছর ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশের ৬৪ জেলায় ৪৫ হাজার খানা (হাউসহোল্ড) থেকে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের বিস্তার, মানুষের সংবাদ গ্রহণের অভ্যাসের পরিবর্তন, গণমাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। এতে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁরা মুদ্রিত খবরের কাগজ না পড়লেও মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণ দেখেন। কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবে পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ দেখেন বলে জানিয়েছেন আড়াই শতাংশ উত্তরদাতা। 

৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাঁরা গণমাধ্যমের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের হার ৭ শতাংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে খবরের জন্য ৩১ শতাংশ উত্তরদাতার আস্থা রয়েছে ফেসবুকে। এরপর ইউটিউবে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। কোনো কিছু শেখা বা জ্ঞানার্জনের জন্য প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে শিক্ষকের ওপরই ভরসা বেশি। এ ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতার কাছে শিক্ষকেরাই সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ব এস র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সেমিনার

শাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাজেদুল করিম বলেন, “গুচ্ছ প্রক্রিয়া না থেকে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষকরা আজ উপাচার্যের কাছে একটা স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। শিক্ষকরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকতে চায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার জন্য সামনের দিকে কাজ এগোচ্ছি। অতিদ্রুত ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি নির্ধারণ করে প্রকাশ করা হবে।”

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শাবিপ্রবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে। এবারো একইভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে চিঠি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ