চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থেকেও হঠাৎ অবসরে স্টয়েনিস
Published: 6th, February 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে বেশ বিপাকেই পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্ট যতো ঘনিয়ে আসছে, ততো তাদের ইনজুরির তালিকা লম্বা হচ্ছে। ইনজুরির কারণে অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ইতোমধ্যে ছিটকে গেছেন। পেসার প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউডকে নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এমন সময় ওয়ানডে থেকে অবসর ঘোষণা করে বসলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা তারকা অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়েনিস। যা অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো অবাক করেছে।
মূলত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারকে লম্বা করতেই তিনি ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবসর ঘোষণা দিয়ে স্টয়েনিস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলা আমার জন্য একটা বিশেষ সফর ছিল। সবুজ-সোনালী জার্সিতে আমার খেলা প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করাটা আমি সর্বদা লালন করব। এটা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে আমি বিশ্বাস করি ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়িয়ে অন্য অধ্যায়ে মনোনিবেশ করার এটাই সঠিক সময়। পাকিস্তানে আমাদের ছেলেদের জন্য আমি গলা ফাঁটাবো।’’
স্টয়েনিস অবসর ঘোষণা করায় অস্ট্রেলিয়াকে সর্বমোট চারজন বিকল্প খেলোয়াড় দলে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে স্পেন্সার জনসন, জ্যাক ফ্রাশার-ম্যাকগার্ক ও শন অ্যাবোট আসতে পারেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে।
আরো পড়ুন:
বিপিএল ২০২৫
ফাইনালের আগেই সাড়ে ১১ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আম্পায়ারদের তালিকায় প্রকাশ, আছেন এক বাংলাদেশি
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং অবশ্য নতুন মুখ মিচ ওয়েনের কথা বলেছেন। এই গ্রেট মনে করছেন ওয়েনকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে নেওয়া উচিত। কারণ, স্টয়েনিসের মতো যোগ্যতা রয়েছে তার।
স্টয়েনিস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। খেলেছেন ২০১৯ ও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপও। সবশেষ তিনি গেল বছরের নভেম্বরে পার্থে খেলেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। এবার পাকিস্তান ও আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও ছিলেন। কিন্তু তার আগে অবসর ঘোষণা দিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিলেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম’—তামিমের আবেগঘন স্বীকার
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সমকালের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তার আন্তর্জাতিক অবসর অপ্রত্যাশিত বা আবেগঘটিত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং ছয় থেকে আট মাস ধরে চলা দৃঢ় মানসিক চাপ ও দল থেকে বঞ্চনার কারণেই তিনি বাধ্য হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিতে।
তামিম বলেন, ‘যখন ২০২৩ সালে খবরটা দিলাম, অনেক মিডিয়া ধারণা করেছে আবেগে ছেড়েছি। কিন্তু সত্যিই, আমি দীর্ঘ সময় সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম।’
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘সেখানে আমি একা অনুভব করতে শুরু করি। আমি সব সময় সবাইকে নিয়ে গল্প করতে পছন্দ করি। আড্ডা দিতে ভালোবাসি। হঠাৎ এসব থেকে আমাকে একা করে দেওয়া হলো। সেই অভাবটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’
তামিম জানালেন, ‘অবসর জানাতে আমার পরিবারের সঙ্গেই কথা হয়েছে। হ্যাঁ, যেদিন ঘোষণা দিয়েছি, সেদিন আবেগাপ্লুত ছিলাম। তবে বেশ আগেই যে প্রেক্ষাপট তৈরি হতে শুরু করেছে, তা অনেকেই জানেন না।’