শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্যি হলো। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা পেসার প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউডের। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) আজ এই দুঃসংবাদ দিয়েছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ সদস্যের স্কোয়াড থেকে ৪ জন ছিটকে গেলেন।

কামিন্স–হ্যাজলউডের ছিটকে পড়ার কারণ সবারই জানা। দুজনই সর্বশেষ বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে চোটে পড়েছিলেন। অ্যাঙ্কেলে পাওয়া আঘাত থেকে এখনো সেরে ওঠেননি কামিন্স। হ্যাজলউডের চোট আরও গুরুতর। নিতম্বে অস্বস্তির পাশাপাশি ও পায়ের পেশিতেও টান ধরেছিল তাঁর। আগের তুলনায় এখন কিছুটা ভালো বোধ করলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার মতো অবস্থায় নেই।  

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড থেকে কামিন্স ও হ্যাজলউডের ছিটকে পড়ার খবর এমন সময়ে এল, যার ঘণ্টা দুয়েক আগে ওয়ানডে থেকে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। কদিন আগে আরেক অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ পিচের চোটের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। চোট থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে থাকা তিনজনকে আরও কয়েক সপ্তাহ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছে সিএ।

অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত প্যাট (কামিন্স), জশ (হ্যাজলউড) এবং মিচকে (মার্শ) কিছু চোট সামলাতে হচ্ছে। তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ফিট হয়ে উঠতে পারবে না। তাদের না থাকা হতাশাজনক হলেও এটা বৈশ্বিক ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অন্য খেলোয়াড়দের পারফর্ম করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।’

কামিন্স ছিটকে পড়ার অর্থ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য নতুন অধিনায়কও খুঁজতে হবে সিএকে। দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড কামিন্সের অনুপস্থিতিতে স্টিভেন স্মিথ অথবা ট্রাভিস হেডকে অধিনায়ক বানাতে বোর্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট সিরিজে স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হেড একবারই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে।

মার্শ, স্টয়নিস, কামিন্স ও হ্যাজলউডের জায়গায় এখনো কারও নাম ঘোষণা করেনি সিএ। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পরপরই বেইলির নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি নতুন চারজনের নাম ঘোষণা করবেন।

সিএর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে থাকা তানভীর সাংহা, শন অ্যাবট ও কুপার কনোলিকে সেখানেই থেকে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জেইক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক, বেন ডরশুইস ও স্পেনসার জনসন শিগগিরই কলম্বোয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তাঁদের মধ্য থেকে চারজনকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে নেওয়া হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এর আগে কলম্বোয় ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলবে তারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য জলউড র

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ