প্রিয়াঙ্কার হয়ে কেন মিষ্টি বিতরণ করলেন শ্বশুর কেভিন
Published: 6th, February 2025 GMT
এই ভারত, এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া কখন কোন দেশে থাকেন তা হয়তো বলিউডের অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। বর্তমানে ভারতের অবস্থান করেছেন তিনি। উপলক্ষ ভাই সিদ্ধার্থ চোপড়ার বিয়ে। কয়েকদিন আগেই স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মার্কিন মুলুক থেকে ভারতে পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
বউমার ভাইয়ের বিয়ের জন্য ছেলেকে ছাড়াই আগেভাগে মুম্বাইতে পা রেখেছেন প্রিয়াঙ্কার শ্বশুর-শাশুড়ি।
বুধবার গায়ের হলুদের অনুষ্ঠানের একাধিক ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তার ফাঁকেই দেখা গেল, বউমার ভাইয়ের বিয়েতে পুরাদস্তুর দেশি মুডে নিক জোনাসের বাবা। অতিথি আপ্যায়নের পাশাপাশি মিষ্টিও পরিবেশন করতে দেখা গেল তাঁকে।
গায়ে হলুদের পর বুধবার রাতে সিদ্ধার্থ চোপড়া, নীলম উপাধ্যায়ের মেহেদী আসরেও বেশ সক্রিয় দেখা যায় প্রিয়াঙ্কার শ্বশুর কেভিন জোনাস এবং শাশুড়ি ডিনাইস মিলার জোনাসকে। হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে অতিথিদের পরিবেশন করছিলেন তিনি। পাপারাজ্জিদেরও মিষ্টি বিতরণ করতেও দেখা যায় তাঁকে।
শুধু তাই নয়, নিক জোনাসের বাবাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি প্রিয়াঙ্কার পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ, একটু মিষ্টিমুখ করে নিন।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস ও সংবাদ প্রতিদিন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়