ফেনীতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যের ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট ট্রাঙ্ক রোড থেকে লাঠি হাতে শতাধিক ছাত্র-জনতা মিছিল করে পুরাতন বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত ফেনী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বাড়ি গিয়ে সেখানে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ও দেয়াল ভাঙচুর করে। পরে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। একই সময়ে জেলা শহরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর নানার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। 

ত্রিপুরা শহরে একটি বাড়ি ও একটি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি শেষে স্থান ত্যাগ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো.

বায়েজিদ আকন বলেন, সাবেক এমপি মাসুদ চৌধুরীর বাড়িতে আগুনের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। আগুন নিজ থেকে নিভে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন হয়নি। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ