সুরা কাওসারে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে
Published: 7th, February 2025 GMT
সুরা কাওসার (প্রাচুর্য) পবিত্র কোরআনের ১০৮তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ। ১ রুকু, ৩ আয়াত। অপুত্রক মুহাম্মদ (সা.)-কে নাম নিশানাহীন হতভাগ্য বলে তাঁর শত্রুরা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রূপ করলে আল্লাহ বলেন যে তাঁকে প্রচুর কল্যাণ দান করা হয়েছে এবং তিনি তাঁর জন্য তাঁর প্রভুর উদ্দেশে নামাজ পড়ুন। প্রকৃতপক্ষে তাঁর শত্রুরাই নাম নিশানাহীন হতভাগ্য।
মুহাম্মদ (সা.
সুরার সারসংক্ষেপ:
সুরা কাওসারের প্রথম আয়াতে ‘আমি তো তোমাকে কাউসার (ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ) দান করেছি।’ আল্লাহ হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে কাওসার দান করেছেন।
পুত্র সন্তান মারা যাওয়ায় তিনি যে দু:খ পেয়েছিলেন, সান্ত্বনা স্বরূপ আল্লাহ তাঁকে পুরস্কার দানের মাধ্যমে খুশি করে দেন। কাওসার শব্দের অর্থ প্রাচুর্য। এটি দুনিয়া ও আখিরাতে বিশেষভাবে হাউসে কাওসার বোঝায়, যা আল্লাহ তাঁকে জান্নাতে দান করবেন। আল্লাহ তার অনুগ্রহ ও উপহার দেওয়ার কথা বলার পর দ্বিতীয় আয়াতে বলেছেন ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে নামাজ পড়ো ও কোরবানি দাও।’
নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নামাজ হলো শুকরিয়া আদায় ও প্রতিদানের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এই নামাজ পড়তে হবে শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য। লোক দেখানোর জন্য নয়। এর সঙ্গে কোরবানি করার কথাও তিনি বলেছেন।
তৃতীয় ও শেষ আয়াতে বলা হয়েছে ‘যে তোমার দুশমন সে-ই তো নির্বংশ।’ আল্লাহ নবী মুহাম্মদ (সা.) এর শত্রুদের কথা বলেছেন। মূলত তারাই সব ধরনের ভালো থেকে বঞ্চিত; দুনিয়ায় ও আখিরাতেও।
আরও পড়ুনসুরা বুরুজে আছে এক বুদ্ধিমান বালকের ঘটনা১২ জানুয়ারি ২০২৪সুরা কাওসারে তিনটি বিষয়ে আলোচনা
রাসুল (সা.) ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ হচ্ছে, তিনি তাঁকে কাওসার প্রদান করেছেন। কাওসার জান্নাতের একটি নহর। কেয়ামতের দিন রাসুল (সা) উম্মতকে তা থেকে পান করাবেন। কাওসারের অর্থ অনেক। কল্যাণ, নবুওয়াত, কোরআন, হেকমত, ইলম, সাফায়ত, মাকামে মাহমুদ, মুজিজাকেও কাওসার বলা হয়।
রাসুল (সা.) কে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, কাওসারের মতো নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। আল্লাহর জন্য কোরবানি করতে হবে। রাসুল (সা.) কে এ সুসংবাদ শোনানো হয় যে, শত্রুরা অপদস্থ হবে। তাদের নাম-নিশানা মিটে যাবে। আর এমনটাই হয়েছিল। (সুরা কাওসার, আয়াত ১–৩, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)
আরও পড়ুনইয়াজুজ–মাজুজের কাহিনি১২ জানুয়ারি ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আল ল হ র জন য দ ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক