Prothomalo:
2025-08-01@22:16:06 GMT

আনন্দ-উচ্ছ্বাসে শেষ মহা আয়োজন

Published: 8th, February 2025 GMT

কিছু ভালো লাগছে না, সৌম্যদ্বীপ অঙ্ক কষতে বসে যায়। আবার ভালো লাগছে, সে অঙ্কই কষে। মা সোমা রানী দের ভাষায়, ‘ছেলে অঙ্ক করতে খুব পছন্দ করে।’ এবার ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো জাতীয় গণিত উত্সব’-এ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে শেষ হলো দুদিনব্যাপী চলা জাতীয় গণিত উত্সব ২০২৫। প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের আনন্দ–উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ২৩তম এই উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব।

এবারের উৎসবে সারা দেশের ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৫৯৬ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। তার মধ্যে ১৫টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবের ১ হাজার ২০০ বিজয়ীকে নিয়ে শুক্রবার থেকে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ী হয় ৮৫ জন। যাদের মধ্য থেকে কয়েক ধাপে বাছাই শেষে নির্বাচিত একটি দল বাংলাদেশ থেকে আগামী জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।

সমাপনী দিনের সকাল শুরু হয়েছিল রুবিকস কিউব মেলানোর মধ্য দিয়ে। এই প্রতিযোগিতা দুটি পর্বে হয়। এরপর ব্যান্ড ‘এসেইস’ তিনটি গান পরিবেশন করে।

মঞ্চে এসে গত জানুয়ারিতে ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক জেতার অভিজ্ঞতা শোনায় আট বছরের আরিয়েত্তি ইসলাম। সে জানায়, তার রোবট বানাতে ভালো লাগে। আর এ জন্য তাকে গণিতও শিখতে হচ্ছে। এ ছাড়া তামজিদ রহমান ‘ব্লাডলিংক’ নামে একটি অ্যাপ বানানোর অভিজ্ঞতা শোনায় শিক্ষার্থীদের। রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরির এই অ্যাপের জন্য গত বছর তিনি পেয়েছেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড।

একেক পর্ব শেষ হচ্ছিল আর মঞ্চ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই পরীক্ষার ফল নিয়ে আসবেন বিচারকেরা। শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম মজার বিষয় ছিল স্বপন দিনারের জাদু। এরপর মুখ দিয়ে নানা বাদ্যযন্ত্রের শব্দ বিটবক্সিং করে ‘বিটমসফিয়ার’-এর সদস্যরা। একপর্যায়ে মঞ্চে আগত অতিথি ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, এই প্রতিযোগিতা শুধু গণিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার চর্চার জন্য নানা প্রতিযোগিতা ও কর্মশালা থাকে।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, বাইরের জগতের দিকেও তাকাতে হবে। আইনস্টাইন বলেছেন, জ্ঞানের চাইতে কল্পনার জগৎ মূল্যবান। এ জন্য চারদিকে সবকিছুর দিকে তাকাতে হবে। প্রকৃতির কাছে যেতে হবে। এ ছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের ‘মাদক’, ‘মিথ্যা’ ও ‘মুখস্থ’—এই তিনকে ‘না’ বলান।

ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

এহতেশামুল হক খান বলেন, গণিত উৎসব যাঁরা শুরু করেছিলেন, তাঁদের স্বপ্ন এখন সফল। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে নাম করেছে। এই আয়োজন শুধু প্রতিযোগিতাই নয়, এর মাধ্যমে গণিতের প্রতি চর্চা বাড়বে। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজেদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাবে, তেমনি দেশও সমৃদ্ধ হবে।

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস দীর্ঘ যাত্রায় যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ গণিত দলের কোচ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম মজুমদার অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষার্থীদের বেশি চাপ দেবেন না। এই প্রতিযোগিতা মজার অভিজ্ঞতা অর্জনের। এটার জন্য কোচিং করার মতো বিষয়ে চাপ দেওয়া যাবে না। গণিতের পাশাপাশি পদার্থবিজ্ঞান ও প্রোগ্রামিংও শেখার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি আবদুল হাকিম খান, সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী মুনির হাসান। কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া শরমিন খালেক, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার দেব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, টালিখাতার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত খান, সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার লিও পেরেরা এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফারজানা আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সেলর জাহিদ হোসাইন খান।

পদকজয়ী যারা

এবার চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস হয়েছে প্রাইমারি ক্যাটাগরিতে নারায়ণগঞ্জের এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সৌম্যদ্বীপ দাস, জুনিয়র ক্যাটাগরিতে সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের আবরার জাহিদ পাঠান। একই সঙ্গে সৌম্যদ্বীপ প্রাইমারি ও জুনিয়র ক্যাটাগরির মধ্য থেকে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য অলিম্পিয়াড হয়ে জামিলুর রেজা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কারও পেয়েছে। এ ছাড়া সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোহাম্মদ মারজুক রহমান এবং হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম কলেজের মো. রায়হান সিদ্দিকী।

এ ছাড়া বিভিন্ন স্মৃতি পুরস্কারের মধ্যে জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে চট্টগ্রাম কলেজের মো. রায়হান সিদ্দিকী, জেবুন্নেসা হাশেম পুরস্কার আগা খান একাডেমির ফাতিমাহ শেখ, জামিলুর রেজা চৌধুরী নান্দনিক সমাধান ও তাজিমা এইচ মজুমদার পুরস্কার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মনামী জামান, আবিদ রেজা স্মৃতি পুরস্কার মতিঝিল সরকারি বয়েজ হাইস্কুলের প্রজেশ ভৌমিক, এম সেকেন্দার আলি স্মৃতি পুরস্কার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের এহাব ফারাজ ভুঁইয়া, গৌরাঙ্গ দেব রায় স্মৃতি পুরস্কার রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মো. জামিউল হোসেইন, সজল-কাজল স্মৃতি পুরস্কার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের সাইফান সাওয়াদ, প্রকৌশলী লুৎফর রহমান স্মৃতি পুরস্কার বাকালিয়া সরকারি কলেজের জিতেন্দ্র বড়ুয়া ও খোদাদাদ খান স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের মো. নাফিস নূর তাসিন।

পদকজয়ী ও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে অতিথিরা সনদ, ক্রেস্ট, মেডেল ও টি-শার্ট তুলে দেন।

প্রাইমারি ক্যাটাগরির বিজয়ীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সৌম্যদ্বীপ দাস প্রথম আলোকে বলে, ‘গণিত একটি আর্ট। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের গণিত অনুশীলন করি। গণিত ছাড়াও পদার্থবিজ্ঞান ভালো লাগে। আমি এআই নিয়ে কাজ করতে চাই।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেটের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রবেশের বিকল্প মাধ্যম ভিপিএন বা ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন পর্যায়ে থ্রি-জি ও ফোর-জি ইন্টারনেটের গতি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছিল।

তথ্যব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘দ্য লংগেস্ট সাইলেন্স: ইন্টারনেট শাটডাউনস ডিউরিং বাংলাদেশ’স ২০২৪ আপরাইজিং’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিজিটালি রাইটের গবেষণায় গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ২২ দিন ইন্টারনেট বন্ধের (শাটডাউনের) ঘটনাকে পাঁচ ধাপে ভাগ করা হয়েছে। এরপর প্রতি ধাপে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের মাত্রা ও ধরন কেমন ছিল, তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে যুক্ত ডিজিটালি রাইটের গবেষক তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুই ধাপে ইন্টারনেট সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট হয়েছিল। প্রথমবার ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই এবং দ্বিতীয়বার ৫ আগস্ট। এ দুই ধাপে মোবাইল ডেটা ও ব্রডব্যান্ড সংযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। ফোর-জিকে টু-জিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। পাশাপাশি ফিল্টারিং প্রযুক্তি ও ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করে দিয়ে ইন্টারনেটের গতি ধীর করে দেওয়া হয়েছিল।

সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক বৈশ্বিক সংস্থা ‘ওপেন অবজারভেটরি অব নেটওয়ার্ক ইন্টারফেয়ারেন্স’র সহযোগিতায় প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

সময় ও অন্তর্ভুক্ত এলাকার আওতার বিবেচনায় ২২ দিন ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনাকে বাংলাদেশে অন্যতম ব্যাপক ‘ইন্টারনেট শাটডাউন’ বলে অভিহিত করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

প্রতিবেদনে ইন্টারনেট শাটডাউন ও নানা মাত্রায় নিয়ন্ত্রণকে সময়ভিত্তিক পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন প্রথম ধাপ জুলাই ১৫-১৭, দ্বিতীয় ধাপ জুলাই ১৮-২৩, তৃতীয় ধাপ জুলাই ২৪-৩১, চতুর্থ ধাপ আগস্ট ১-৩ ও পঞ্চম ধাপ আগস্ট ৪-৫।

ভিপিএনের ওপর নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় ২৪ জুলাই। এ সময় প্রোটন ভিপিএন, নর্ড ভিপিএন ও টানেলবিয়ারের মতো অ্যাপগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ভিপিএন হলো নিরাপদ ও গোপন পথে ওয়েবসাইটে প্রবেশের উপায়, যা ব্যবহারকারীর অবস্থান ও ডেটা গোপন রাখে। বিশেষ করে ব্লকড করে দেওয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশে এগুলো ব্যবহার করা হয়।

প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ব্রডব্যান্ড সংযোগের গতি নিয়ন্ত্রণ ও সুনির্দিষ্ট কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কোনো ধরনের সরকারি নির্দেশ ও ঘোষণা ছাড়াই তা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা দিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবা বন্ধেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা এসেছিল।

ডিজিটালি রাইটের গবেষণা থেকে জানা গেছে, ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে সরকার থেকে মৌখিক ও অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ শুরু হওয়ার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে কোটাবিরোধী আন্দোলন বেগবান হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মোবাইল ডেটার প্রবাহকে ধীরগতির করে দেওয়া হয়। ১৫ জুলাই সকাল থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থ্রি-জি ও ফোর-জি ইন্টারনেটের গতি দুর্বল করে দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৬ জুলাই থেকে দ্রুতগতির ইন্টারনেটকে বাধাগ্রস্ত করা হয়।

সহিংসতার তীব্রতা বাড়তে থাকলে ১৮ জুলাই থেকে দেশব্যাপী ইন্টারনেট শাটডাউন শুরু করে সরকার। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর ওই দিন দিবাগত রাত ১টা ২৯ মিনিটের দিকে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা ২৩ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভিপিএন, মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ডের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১ থেকে ৩ আগস্টের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া, ভিপিএন বাধাগ্রস্ত করা ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। ৪ থেকে ৫ আগস্ট সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট ও ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করা হয়েছে ডিজিটালি রাইটের প্রতিবেদনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন