ইলেকট্রিক জি-ওয়াগন এখন বাংলাদেশে
Published: 9th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের বাজারে এলো মার্সিডিজ বেঞ্জ-এর ফ্ল্যাগশিপ গাড়ি জি৫৮০ এডিশন ওয়ান বা ইলেকট্রিক জি-ওয়াগন মডেলের গাড়ি।
মার্সিডিজ বেঞ্জ বাংলাদেশের অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর র্যানকন মোটরস লিমিটেড দেশে প্রথমবারের মতো ২০২৫ সালের জি৫৮০ এডিশন ওয়ান মডেলের ইলেকট্রিক গাড়িটি উন্মোচন করেছে।
শনিবার বিকেলে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানে ইলেকট্রিক জি৫৮০ এডিশন ওয়ান-এর উদ্বোধন করা হয়।
২০২৫ সালের জি৫৮০ এডিশন ওয়ান হলো ইলেকট্রিক জি-ওয়াগনের প্রথম প্রোডাকশন ইউনিট, যা গাড়িপ্রেমীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত। এই মডেলটি জি-ক্লাসের ঐতিহ্যবাহী অফ-রোড পারফরম্যান্স এবং আধুনিক ইলেকট্রিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি, যা লাক্সারি, পারফরম্যান্স এবং টেকসইতার নতুন ধারা নির্ধারণ করেছে।
মার্সিডিজ-বেঞ্জ জি-ক্লাস ইলেকট্রিক একটি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক জি-ওয়াগন যা ইভি হিসেবেও তার আইকনিক এসইউভি বৈশিষ্ট্যগুলি ধরে রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে এর নকশা এবং অফ-রোড ক্ষমতা। এই অফ-রোডিং গাড়িটিতে রয়েছে সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক জি-ওয়াগন কোয়াড-মোটর সেটআপ (প্রতিটি চাকার জন্য একটি মোটর), যা ৫৮৭ পিএস এবং ১১৬৪ এনএম টর্কের সম্মিলিত আউটপুট প্রদান করে। রয়েছে জি-রোয়ার, জি-টার্ন এবং জি-স্টিয়ারিং।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘বেসবাবা’খ্যাত অর্থহীন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমন এবং দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ মোটর রেসার অভিক আনোয়ার।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?