শাও জি চিউ। বিশ্বের আলোচিত এবং জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রধান নির্বাহী। আলোচিত এই নির্বাহীর বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণার কথা তুলে এনেছেন ইমাম হোসেন মানিক

অনেকেই টিকটকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চায়। কেউ আবার এ প্ল্যাটফর্মকে শুধু শর্ট ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে। আসলে সবারই একটি মিশন থাকে। সেটি ব্যক্তিগত হোক আর ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে হোক। টিকটক নিয়ে আমার মিশন হচ্ছে, মানুষের সৃজনশীলতা সবার কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করা এবং অন্যের কাছ থেকে শেখা। এই সৃজনশীলতা শুধু ভিডিওর মাধ্যমেই হতে হবে তা বলছি না। প্রতিনিয়ত নতুন তথ্যের সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করানোর পাশাপাশি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস সবার মতো টিকটকেরও আছে!

চীনে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ভেঙে.

..
টিকটক চেনে না এমন মানুষ খুব কমই দেখা যায় বিশ্বে। এটিই একমাত্র চীনা প্রতিষ্ঠান, যা অন্যান্য দেশেও বেশ জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। আপনারা এটি খুব ভালো করেই জানেন যে চীনে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে পছন্দ করে। টিকটকের ক্ষেত্রে নিয়ম যেন বদলে যায়। টিকটকের শুরু থেকেই আমরা এর পরিধি বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেছি এবং এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

মানুষের কথা মাথায় রেখেই টিকটকের গড়ে ওঠা
টিকটক নিয়ে নেতিবাচক কথা শোনা গেলেও এর ইতিবাচক দিকটাই সম্ভবত বেশি। দেখুন, সব মানুষই তার সফলতা বা আবেগ প্রকাশের শক্তিশালী একটি মাধ্যম খোঁজে। কেবল তাই নয়, মানুষ তার জীবনযাপনে যে পথ পাড়ি দেয়, তার রীতিনীতি, আনন্দ-বেদনা সবকিছুই ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার করার উপায় খুঁজে ফেরে। কিন্তু এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম টিকটকের আগে ছিল না। বিষয়টি আমরা বুঝতে পেরে সবার কর্মতৎপরতার একটি ভিজুয়াল প্ল্যাটফর্ম তৈরির চেষ্টা করি। শুধু তা-ই নয়, আমি মনে করি, এখন সবার কাছে এটি পরিষ্কার যে সফলতার সঙ্গেই টিকটক তার যাত্রা শুরু করতে পেরেছে।

নিরাপত্তা ও পরিশ্রমের ইতিহাস
যে কোনো ব্যবসায় সফলতার জন্য তার ক্রেতার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা খুবই জরুরি। সেই দিক বিবেচনায় টিকটক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যাতে নিরাপদে থাকে, সে জন্য আমরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করি। এই নিরাপত্তার ফলেই প্রতিনিয়ত টিকটকের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। এত কিছুর পরও আমি বলব, টিকটকে আপনারা নিজেদের যে সাফল্য বা আবেগ প্রকাশ করেন তার আগে নিজেদের গড়ে তুলুন। আজ আমার এই অবস্থানে আসার পেছনেও আছে পরিশ্রমের ইতিহাস। পৃথিবীর কোনো মানুষই পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য পায়নি। তাই নিজেকে গড়ে তোলায়ও মন দিন। করুন কঠোর পরিশ্রম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কটক প ল য টফর ম ট কটক র

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য

শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশসেবার মনোভাব তরুণদের জীবন গড়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোভার ইন কাউন্সিলের ২০২৫–২৬ সালের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন খুবই সন্তুষ্টির একটি ক্ষেত্র। এটি অর্জন কঠিন কিছু নয়, বরং ইচ্ছাশক্তিই এর মূল উপাদান। এখন থেকেই যদি শৃঙ্খলার চর্চা শুরু করা যায়, ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

তিনি বলেন, “এবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করতে পেরেছে, যা একটি বড় অর্জন। এ সফলতার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাশাপাশি রোভার স্কাউটদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

নতুন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. মাহবুব হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মো. নাজমুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান।

পরে রোভারদের নিবেদন ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য