আইসিসির বৈশ্বিক আসরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যানরিখ নরকিয়ার চোটে পড়াটা একধরনের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ৩১ বছর বয়সী পেসার চোটের কারণে ২০১৯ এবং ২০২৩ বিশ্বকাপ মিস করেছিলেন। আবারও চোটের কারণেই ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে পকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেতলে পারবেন না নরকিয়া। সেই জায়গায় প্রোটিয়া দলে সুযোগ পেয়েছেন বোলিং অলরাউন্ডার করবিন বশ।

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) নরকিয়া ছিটকে যাওয়ার পর জেরাল্ড কোয়েৎজিকে বদলি করার পরিকল্পনা করেছিল। এমনকি এই অলরাউন্ডারকে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের দলেও রাখা হয়। তবে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে যান কোয়েৎজিও। তাই বাধ্য হয়েই বশকে দলে রাখেন নির্বাচকরা।

বশ সদ্য সমাপ্ত এসএটোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন দল এম আই কেপটাউনের হয়ে খেলেছেন। আসরটিতে ৮ ম্যাচ খেলে ১৭.

৩৬ গড়ে ১১ উইকেট নেন তিনি। তবে ব্যাটিংয়ের সুযোগ সেভাবে পাননি এই ৩০ বছর বয়সী বোলিং অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত একটি ওয়ানডে খেলেন বশ। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সে ম্যাচে অপরাজিত ৪০ রাবের পাশাপাশি বল হাতে নেন ১ উইকেট।

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সহায়তা বন্ধ

স্যামসন-তিলকের তাণ্ডবলীলায় এলোমেলো দ. আফ্রিকা

অন্যদিকে বামহাতি ফাস্ট বোলার কওনা মাপাখাকে রিজার্ভ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছে সিএসএ। বশ এবং মাপাখা, সঙ্গে ওপেনার টনি ডি জর্জি,  রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) করাচির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং ত্রিদেশিয় ওয়ানডে সিরিজের বাকি অংশে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নরক য়

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ