Risingbd:
2025-11-03@20:21:34 GMT

৪১ মেধাবীকে পুরস্কৃত

Published: 9th, February 2025 GMT

৪১ মেধাবীকে পুরস্কৃত

রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুলের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এর উপাচার্য ড.

লতিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান হারুন, উপ-উপাচার্য ড. বেলাল, ট্রেজারার প্রফেসর বাশার, পিএসসি’র সদস্য ড. তামান্না, বিএআরআই এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশেদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ আলম ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল্লাহ আনসারী। 

অনুষ্ঠানে প্ল্যান্ট অ্যান্ড সাইন্স কুইজের ১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। তিনি প্রবাসে থেকেই অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী নির্ধারণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. লতিফ বলেন, “কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেশের অসহায় মানুষ, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী ও বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য যা করেছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। অথচ এসব কাজ আমরা দেশে থেকেও করতে পারি না।”

১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারলাম বৈষ্যম বিরোধী আন্দোলনে জুলাইয়ে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করেছেন মুকুল। এছাড়াও অনেক আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য অর্থও দিয়েছেন। তার এই কাজগুলো সতিই মনোমুগ্ধকর।” 

অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রফেসর ড. সরোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. রফিকসহ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ, ডিন বৃন্দ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর । 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইংলিশ নিউজ প্রেজেন্টার সালাউদ-দীন আহমেদ,খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম রিপ্রেজেন্টেটিভ নূর আহমেদ খন্দকার ও ঢাকা পোস্টের সিনিয়র নিউজ এডিটর মাহবুর আলম সোহাগ।

প্রসঙ্গত, দেশের যেকোনো দুর্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে কখনও প্রবাসীদের সংগঠন লিটিল কেয়ারের মাধ্যমে আবার কখনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার, অসহায়দের ঘর তৈরি করে দেওয়া, বিধবা নারীদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ নানান মানবিক করেন তিনি।

ঢাকা/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন অসহ য়

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত

বাংলাদেশের মেকআপ আর্ট জগতে নীরবে নতুনত্ব যোগ করে যাচ্ছেন সোনালী মিতুয়া। তার শৈল্পিক ইলিউশন এবং বডি পেইন্টিংগুলো আন্তর্জাতিক মানের, যা দেখে চোখ ফেরানো দায়। বর্তমানে ফিনল্যান্ডে মেকআপের ওপর উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন এই শিল্পী, যার ক্যানভাসে শৈশবের প্রথম গন্ধ ছিল তেল রং আর থিনারের তীব্রতা। মেকআপ ব্যবহার করে তিনি যে ক্যানভাস তৈরি করেন-তা এক কথায় অনন্য, অসাধারণ। 

সোনালী মিতুয়া কখনও তার মুখে ফুটে ওঠে ফাটল ধরা পৃথিবী, যেখান থেকে গজিয়ে ওঠে সবুজ লতা। কখনও দেখা যায় তার মুখটাই এক অর্ধেক যন্ত্র, অর্ধেক প্রকৃতি, যেন মানুষ আর মেশিনের মাঝের এক অদ্ভুত, কাব্যময় দ্বন্দ্ব।আর কখনও সেই মুখটাই অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, শুধু দেখা যায় এক ভয়ঙ্কর কালো গহ্বর — যেন মানুষের শূন্য আত্মা। এগুলো কোনো সিনেমার দৃশ্য না।এগুলো এক তরুণী মেকআপ আর্টিস্টের সৃষ্ট জীবন্ত শিল্পকর্ম।

আরো পড়ুন:

একা বাস করতে পারে যে পাখি

কেউ কটূক্তি করলে কী করবেন?

সোনালী মিতুয়ার মেকআপে একটা গল্প, একটা দর্শন, একটা গভীর বার্তা লুকিয়ে থাকে। যেখানে অধিকাংশ মানুষ মেকআপকে শুধু প্রসাধনের জগতে দেখে, সে সেখানে মেকআপকে তুলেছে এক উচ্চমাত্রার শিল্প হিসেবে। তার হাতে রঙ মানে—চামড়ার ওপরে নয়, বরং আত্মার ভাষা প্রকাশের এক মাধ্যম।

তার কাজে দেখা যায় প্রস্থেটিক মেকআপের প্রভাব— যেখানে মুখ বদলে যায়, গড়ে ওঠে নতুন রূপ, নতুন চরিত্র। এমন কৌশল একদিন তাকে সিনেমার পর্দায় প্রস্থেটিক আর্টিস্ট হিসেবে বড় জায়গায় নিয়ে যাবে—
এ কথা বলার জন্য বিশেষজ্ঞও হতে হয় না। 

এই মেয়েটির সবচেয়ে বড় শক্তি তার কল্পনাশক্তি। সে মুখের ভেতরেই ফুটিয়ে তোলে গল্প—একদিকে প্রকৃতি, ফুল, প্রজাপতি; অন্যদিকে প্রযুক্তি, ধ্বংস আর শূন্যতা। দেখলে মনে হয়, এই দুইয়ের টানাপোড়েনেই গড়ে উঠেছে তার শিল্পজগৎ।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এই মেয়েটি এক অনুপ্রেরণা। সে প্রমাণ করছে—শিল্পের ভাষা যদি শক্ত হয়, তাহলে দেশের সীমা পেরিয়ে বিশ্বেও পৌঁছানো যায়। যেখানে মেকআপকে এখনো অনেকেই কেবল সাজের কাজ মনে করেন, এই মেয়েটি সেখানে দেখিয়েছে — মেকআপও হতে পারে দর্শন, প্রতিবাদ আর সৃষ্টির ক্যানভাস। 

তিনি জানেন,  প্রস্থেটিক আর্টে (বিশেষত কৃত্রিম অঙ্গ, ক্ষত বা ফ্যান্টাসি চরিত্র তৈরি) করা যায় দক্ষতার সাথে।  বর্তমানে বাংলাদেশের সিনেমায় যেখানে প্রস্থেটিকের ব্যবহার খুবই সীমিত, সেখানে সোনালী মিতুয়ার মতো একজন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পী আছেন, তার হাতেই তৈরি হতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাসের চরিত্রদের নিখুঁত রূপ, অথবা আমাদের ফ্যান্টাসি সিনেমার ভিনগ্রহের প্রাণী।

সোনালী মিতুয়ার কাজগুলো দেখলেই বোঝা যায়, তিনি মেকআপকে স্রেফ সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যম হিসেবে দেখেন না, বরং এটিকে একটি শক্তিশালী গল্প বলার হাতিয়ার মনে করেন। 

একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ প্রকৃতির মাঝে ফাটল ধরা পাথরের মতো এক রূপ ধারণ করেছেন। সবুজ, হলুদ ও লালের মিশ্রণে চোখের অংশটি গভীর এবং রহস্যময়, আর ফাটলের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসা লতা-পাতা জীবনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি তার পরিবেশ-সচেতনতা এবং ফ্যান্টাসি আর্টের দক্ষতা প্রমাণ করে।

সাদাকালো স্কেচের মতো দেখতে এই মেকআপটি অত্যন্ত কঠিন এবং চোখে পড়ার মতো। মুখের প্রতিটি অংশে পেন্সিল বা চারকোল দিয়ে আঁকা হ্যাচিংয়ের মতো স্ট্রোকগুলো ত্রিমাত্রিক চেহারাটিকে দ্বিমাত্রিক কমিক-বুক বা নয়ার চলচ্চিত্রের চরিত্র হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে।

চোখ ও মুখের চারপাশে মাকড়সার জাল এবং ফুলা, রক্তবর্ণ চোখের পাপড়ি ভীতি ও কষ্টের এক শক্তিশালী অনুভূতি জাগায়। এটি বিশেষ করে হ্যালোইন বা হরর থিমের জন্য পারফেক্ট।

গভীর অন্ধকারে তোলা এই ছবিটি ‘অন্ধকার গহ্বর’ বা ‘কৃষ্ঞগহ্বর’ থিমের একটি চমকপ্রদ ইলিউশন মেকআপ। নিখুঁত কনট্যুরিং এবং রঙের ব্যবহারে মুখের এক অংশে যেন সত্যিই একটি ফাঁকা, গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টে সোনালী মিতুয়ার বাজিমাত