রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুলের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এর উপাচার্য ড.
অনুষ্ঠানে প্ল্যান্ট অ্যান্ড সাইন্স কুইজের ১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। তিনি প্রবাসে থেকেই অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী নির্ধারণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. লতিফ বলেন, “কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেশের অসহায় মানুষ, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী ও বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য যা করেছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। অথচ এসব কাজ আমরা দেশে থেকেও করতে পারি না।”
১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারলাম বৈষ্যম বিরোধী আন্দোলনে জুলাইয়ে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করেছেন মুকুল। এছাড়াও অনেক আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য অর্থও দিয়েছেন। তার এই কাজগুলো সতিই মনোমুগ্ধকর।”
অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রফেসর ড. সরোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. রফিকসহ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ, ডিন বৃন্দ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইংলিশ নিউজ প্রেজেন্টার সালাউদ-দীন আহমেদ,খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম রিপ্রেজেন্টেটিভ নূর আহমেদ খন্দকার ও ঢাকা পোস্টের সিনিয়র নিউজ এডিটর মাহবুর আলম সোহাগ।
প্রসঙ্গত, দেশের যেকোনো দুর্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে কখনও প্রবাসীদের সংগঠন লিটিল কেয়ারের মাধ্যমে আবার কখনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার, অসহায়দের ঘর তৈরি করে দেওয়া, বিধবা নারীদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ নানান মানবিক করেন তিনি।
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন অসহ য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন।
তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে।
কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”
জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।
জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”
ঢাকা/রুমন/এস