Risingbd:
2025-05-01@09:13:28 GMT

৪১ মেধাবীকে পুরস্কৃত

Published: 9th, February 2025 GMT

৪১ মেধাবীকে পুরস্কৃত

রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুলের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এর উপাচার্য ড.

লতিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান হারুন, উপ-উপাচার্য ড. বেলাল, ট্রেজারার প্রফেসর বাশার, পিএসসি’র সদস্য ড. তামান্না, বিএআরআই এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশেদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ আলম ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল্লাহ আনসারী। 

অনুষ্ঠানে প্ল্যান্ট অ্যান্ড সাইন্স কুইজের ১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। তিনি প্রবাসে থেকেই অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী নির্ধারণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. লতিফ বলেন, “কম্পিউটার প্রোগ্রামার কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেশের অসহায় মানুষ, নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী ও বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের জন্য যা করেছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। অথচ এসব কাজ আমরা দেশে থেকেও করতে পারি না।”

১৩ জন বিজয়ী ও ক্যাম্পাসে আলোকিত ২৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারলাম বৈষ্যম বিরোধী আন্দোলনে জুলাইয়ে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করেছেন মুকুল। এছাড়াও অনেক আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য অর্থও দিয়েছেন। তার এই কাজগুলো সতিই মনোমুগ্ধকর।” 

অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রফেসর ড. সরোয়ার হোসেন ও প্রফেসর ড. রফিকসহ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ, ডিন বৃন্দ, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর । 

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইংলিশ নিউজ প্রেজেন্টার সালাউদ-দীন আহমেদ,খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম রিপ্রেজেন্টেটিভ নূর আহমেদ খন্দকার ও ঢাকা পোস্টের সিনিয়র নিউজ এডিটর মাহবুর আলম সোহাগ।

প্রসঙ্গত, দেশের যেকোনো দুর্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে কখনও প্রবাসীদের সংগঠন লিটিল কেয়ারের মাধ্যমে আবার কখনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান কৃষিবিদ এনামুল হক ভূইয়া মুকুল। প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার, অসহায়দের ঘর তৈরি করে দেওয়া, বিধবা নারীদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়াসহ নানান মানবিক করেন তিনি।

ঢাকা/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন অসহ য়

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুর মাথা ঘামে কেন

শিশুর মাথা ঘামা নিয়ে যেন মা-বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সাধারণত শিশুর এ আচরণকে অসুখ-বিসুখ ভাবা ঠিক নয়। রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় মাথা ঘেমে যাওয়া, হাতের পাতা ঘেমে জবজবে হওয়া শিশুর বেলায় প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। শিশুর মাথা ঘেমে গেলে, মাথায় কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ না থাকলে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার তেমন কোনো কারণ নেই। শারীরিক কার্যকলাপের সময় উষ্ণ পরিবেশে মাথায় ঘাম একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। শিশুর ঘামের গ্রন্থিগুলো শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো মাথার ঘামের গ্রন্থিও অপরিপক্ব; যার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘামে মাথা। শিশুর মাথা ঘামার সুবিধা হলো, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়। মাথায় প্রচুর ঘাম গ্রন্থি থাকে এবং এই ঘাম শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।
কেন শিশুর মাথা ঘামে
l জন্মগত হৃদরোগের কারণে শিশুর মাথা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুর অন্যান্য লক্ষণ থাকে। যেমন– হাত-পা, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন নিউমোনিয়া হওয়া, শরীরের ওজন না বাড়া ইত্যাদি।
l  থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত হরমোন তৈরির কারণে শিশুর মাথার ঘাম বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুর ঘাম বাড়ার সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, ঘুম কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকে।
l  শিশুর রিকেটস রোগের জন্য ক্যালসিয়াম 
এবং ভিটামিন ডি’র অভাব হলে মাথার ঘাম বেড়ে যেতে পারে।
l  ইডিওপ্যাথিক হাইপারহাইড্রোসিস নামক রোগের কারণে শিশুর অতিরিক্ত ঘাম বেড়ে যেতে পারে।
l  কিছু কিছু ওষুধ যেমন– অ্যামফিটামিন, পেথেডিন, থাইরোক্সিন অতিমাত্রায় এ ওষুধগুলো মা খেলে বুকের দুধ খায় এমন শিশুর মাথা ঘেমে যেতে পারে।
l  ক্যাফেইনযুক্ত খাবার মাথার ঘাম বাড়িয়ে দিতে পারে।
l  অতিরিক্ত মোটা কাপড়ও শিশুর মাথার ঘাম বাড়িয়ে দিতে পারে।
কখন চিকিৎসক দেখাবেন
শিশুর ঘামের সঙ্গে যদি অন্যান্য কিছু লক্ষণ দেখা যায়। তবে চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেমন–
l  বয়স অনুযায়ী ওজন এবং উচ্চতা না বাড়া।
l  পর্যাপ্ত বিশ্রাম সত্ত্বেও শিশুর ক্লান্তি দূর না হওয়া।
l শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা। শ্বাস নিতে অসুবিধা বা ঘন ঘন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বা নিউমোনিয়া।
l হাত, পা, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া।
l কবজি ফুলে যাওয়া, দেরিতে হাঁটতে শেখা। হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সামনের দিকে অথবা হাঁটুর কাছ থেকে দুই পা দু’দিকে বেঁকে যাওয়া।
চিকিৎসা
l গরম আবহাওয়ায় পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করাবেন। 
l ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা এবং আরামদায়ক করা।
l শিশুকে পরিমাণমতো পানি এবং তরল খাবার দেওয়া।
l যেসব খাবার শিশুদের ঘাম বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন– চা, কফি, চকলেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। v
v  শিশুকে প্রতিদিন গোসল করাবেন।
শিশুর মাথার ঘাম একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া, যা পরবর্তী সময়ে শিশুর বড় হওয়ার পর থাকবে না। তবে কখনও কখনও এটি একটি অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণও হতে পারে। কারণগুলো বোঝা এবং কখন চিকিৎসা নেওয়া উচিত, তা জানা অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

[অধ্যাপক, শিশু বিভাগ 
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিষ্টি মেয়ের গল্প
  • ভারতে মন্দিরের দেয়াল চাপা পড়ে ৮ জনের মৃত্যু
  • সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৪ 
  • কোমল পানীয় কেনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ-বাড়িতে আগুন, নিহত ১
  • কোমল পানীয় কেনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আগুন, মিটিং করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১
  • নির্মাতার ঘোষণার অপেক্ষায় চিত্রাঙ্গদা
  • রাস্তায় ইটভাটার মাটিতে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাস, আহত ৬
  • ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, ১০ জন হাসপাতালে
  • শিশুর মাথা ঘামে কেন
  • নড়াইলে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, শিশু নিহত