অমর একুশে বইমেলায় ফাহমিদা নবীর লেখা প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‌‘ফাহমিদা নবীর ডায়রি’। বইটিতে নিজের জীবনের উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ফাহমিদা গণমাধ্যমকে বলেন, “নতুন এ বইটির পাতায় পাতায় জীবনের চলমান উপলব্ধির কিছু কথা লেখা হয়েছে।”

নিজের লেখা প্রথম বইয়ের খবর জানিয়ে ফেসবুকে ফাহমিদা নবী লেখেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার বাবার লেখা, কথার ভঙ্গী, গান গাইবার অনুভব আমাকে অনুপ্রাণিত করত। ফেসবুক পেজে ফাহমিদা নবীস ডায়েরিতে নিয়মিত লিখি। অনেকেরই চাওয়া, আমার লেখাগুলোর একটি বই হোক। তাদের চাওয়া পূরণ করতেই এই বই।’

আরো পড়ুন:

বইমেলার ৮ম দিনে ১০২ নতুন বই প্রকাশিত

বইমেলায় প্রবন্ধ সংকলন ‘বিংশ একবিংশ’

লেখালেখি প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী লেখেন, ‘গানের গভীরতায় জীবনবোধ, আর চারপাশের যাপিত জীবন-কোনোটাই জীবনদর্শনের বাইরে নয়। তাই যা দেখি তা-ই নিজের মতো করে লিখি, ভাবনাগুলো নিয়ে ইতিবাচকতায় সমাধানের পথ খুঁজি আর লিখে ফেলি উপলব্ধি। দর্শন নিয়ে পড়েছিলাম বলেই জীবনের দর্শনে নিজেকে চেনা, জানা, বোঝার নানা দিক আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। অল্পের গল্প আর সেই সঙ্গে নিজের উপলব্ধি ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেও যেমন সহজ হতে চেষ্টা করি, তেমনি চাই মানুষও সহজ হোক আপন উপলব্ধিতে। বাঁচতে শিখুক ভালোবাসায়। জীবনকে জয় করুক সাহসী বিশ্বাসের মর্যাদায়।’

ফাহমিদা নবীর এ বইটি প্রকাশিত হয়েছে শব্দশিল্প প্রকাশনা থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল উপলব ধ বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ