বইমেলায় ফাহমিদা নবীর প্রথম বই প্রকাশিত
Published: 9th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় ফাহমিদা নবীর লেখা প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির নাম ‘ফাহমিদা নবীর ডায়রি’। বইটিতে নিজের জীবনের উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ফাহমিদা গণমাধ্যমকে বলেন, “নতুন এ বইটির পাতায় পাতায় জীবনের চলমান উপলব্ধির কিছু কথা লেখা হয়েছে।”
নিজের লেখা প্রথম বইয়ের খবর জানিয়ে ফেসবুকে ফাহমিদা নবী লেখেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার বাবার লেখা, কথার ভঙ্গী, গান গাইবার অনুভব আমাকে অনুপ্রাণিত করত। ফেসবুক পেজে ফাহমিদা নবীস ডায়েরিতে নিয়মিত লিখি। অনেকেরই চাওয়া, আমার লেখাগুলোর একটি বই হোক। তাদের চাওয়া পূরণ করতেই এই বই।’
আরো পড়ুন:
বইমেলার ৮ম দিনে ১০২ নতুন বই প্রকাশিত
বইমেলায় প্রবন্ধ সংকলন ‘বিংশ একবিংশ’
লেখালেখি প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী লেখেন, ‘গানের গভীরতায় জীবনবোধ, আর চারপাশের যাপিত জীবন-কোনোটাই জীবনদর্শনের বাইরে নয়। তাই যা দেখি তা-ই নিজের মতো করে লিখি, ভাবনাগুলো নিয়ে ইতিবাচকতায় সমাধানের পথ খুঁজি আর লিখে ফেলি উপলব্ধি। দর্শন নিয়ে পড়েছিলাম বলেই জীবনের দর্শনে নিজেকে চেনা, জানা, বোঝার নানা দিক আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। অল্পের গল্প আর সেই সঙ্গে নিজের উপলব্ধি ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেও যেমন সহজ হতে চেষ্টা করি, তেমনি চাই মানুষও সহজ হোক আপন উপলব্ধিতে। বাঁচতে শিখুক ভালোবাসায়। জীবনকে জয় করুক সাহসী বিশ্বাসের মর্যাদায়।’
ফাহমিদা নবীর এ বইটি প্রকাশিত হয়েছে শব্দশিল্প প্রকাশনা থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল উপলব ধ বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি