জাবিতে `ডি` ইউনিটের পরীক্ষায় ছাত্রীদের উপস্থিতি ৮২ শতাংশ
Published: 9th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ডি' ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা পাঁচটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট পাঁচটি শিফটে ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮২ শতাংশ।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ছাত্রীদের নিয়ে ‘ডি’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ধারাবাহিকভাবে মোট পাঁচটি শিফটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ শিফটের পরীক্ষা বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়। আগামীকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের এ পরীক্ষায় চারটি শিফটে শুধু ছাত্ররা অংশগ্রহণ করবেন।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, “জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ছাত্রীদের মোট আসন সংখ্যা ১৫৫টি। এর মধ্যে প্রায় ৪৮ হাজার ৭৮২ জন পরীক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩৯ হাজার ৯৬৮ জন ভর্তিচ্ছু। সে হিসেবে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮২ শতাংশ। এছাড়া প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৮২ শতাংশ, দ্বিতীয় শিফটে ৮২ শতাংশ, তৃতীয় শিফটে ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ শিফটে ৮১ শতাংশ এবং পঞ্চম শিফটে ৮২ শতাংশ।
ফলাফলের ব্যাপারে তিনি বলেন, “আগামীকাল সোমবার রাত অথবা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এরপর ওই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা ফলাফল জানতে পারবে।
এর আগে, ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় শিফটে সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র ও মাইক্রোবায়োলজি ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার প্রমুখ।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে জাবির সাতটি ইউনিটে সর্বমোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৮১৬টি। এর মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীদের আসন সমানভাবে ৯০৮টি করে রাখা হয়েছে। ১ হাজার ৮১৬টি আসনের বিপরীতে জাবির ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর মোট আবেদন পড়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৯০টি আবেদনকৃতদের মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭০ জন ছাত্র ও ১ লাখ ২৭ হাজার ৯২০ জন ছাত্রী রয়েছেন। সে অনুযায়ী প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন প্রায় ১৪৫ জন শিক্ষার্থী।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ফলাফল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে ju-admission.org এ পাওয়া যাবে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট র পর ক ষ পর ক ষ য় উপস থ ত ইউন ট র ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।