সময় এখন প্রযুক্তির। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির ওপর ভর করে। ফলে শিক্ষার্থীদের সামনে পেশাজীবনে যোগ হচ্ছে নতুন সব সম্ভাবনা। তরুণরা খুঁজে পাচ্ছেন আধুনিক দিকনির্দেশনা। বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর অন্যতম একটি পড়ার বিষয় হলো বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং; যা ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং জনপ্রিয়। এই সেক্টরে দিন দিন চাকরির বাজার প্রসারিত হচ্ছে। এভিয়েশন সেক্টরে বিপুল দক্ষ লোকের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে বাংলায় বলা হয় বিমান প্রকৌশলবিদ্যা। দূরদূরান্তে যোগাযোগের দ্রুত ও অন্যতম মাধ্যম হলো বিমান। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে বিমানের ব্যবহার। সুতরাং, এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা জোগানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যোগ্য ইঞ্জিনিয়ার তৈরি, যার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তাই এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার সঙ্গে সামাজিক মর্যাদা, খ্যাতিও বেড়েছে কয়েক গুণ। বিমান তৈরি থেকে শুরু করে এর রক্ষণাবেক্ষণ, ওভারহলিং এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্স মেইনটেন্যান্স সংস্থায় দেশে-বিদেশে কাজ করার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের।
অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড এভিয়েশন সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার  সুযোগ রয়েছে, কারণ এখানে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, এবং উদ্ভাবনের আন্তঃসম্পর্কিত প্রয়োগ ঘটানো হয়।
ক্যারিয়ার সম্ভাবনা 
উন্নত প্রযুক্তির নকশা: অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিমান এবং মহাকাশযানের নকশায় কাজ করেন। এতে বিমান চলাচল আরও এক্সিকিউটিভ এবং নিরাপদ করে তোলা হয়।  গবেষণা ও উন্নয়ন: এই ক্যারিয়ারে গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নতুন ধরনের ইঞ্জিন, বিমান পারফরম্যান্স এবং অটোনোমাস সিস্টেমের উন্নয়ন। 
এসএসসি, এইচএসসি অথবা ও-লেভেল বা এ-লেভেল পাস করেই যে কোনো ছাত্রছাত্রী দেশে শুরু করতে পারেন এবিষয়ে পড়াশোনা।
বর্তমানে এই কোর্সটি করাচ্ছে  ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন সায়েন্স  অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
বিস্তারিত জানা যাবে– www.

uca.edu.bd  

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মঞ্চে ফিরছে ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’

বাংলার লোকগাথা আর আদি নাট্যরীতির এক অনন্য সম্মিলন ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’। দীর্ঘ বিরতির পর আবারো মঞ্চে আসছে নাটকটি। খুলনা অঞ্চলের জনপ্রিয় লোককাহিনি অবলম্বনে নির্মিত এই নাটক ১৬ জুন, সন্ধ্যা ৭টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে।

ঢাকা পদাতিকের ৩৫তম প্রযোজনা হিসেবে ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’ আবার দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে বাংলার মাটির গন্ধমাখা কাহিনি, লোকজ রীতি এবং ঐতিহ্যবাহী অভিনয়শৈলী। নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় আছেন কাজী চপল, যিনি শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত এক সরস উপস্থাপনা উপহার দিতে প্রস্তুত।

নাটকের মূল চরিত্র পাইচো চোর—চতুর, চটপটে এবং বুদ্ধিমান এক লোক, যে রাজপ্রাসাদে ঢুকে চুরি করে রাজকন্যা! তবে গল্পটা শুধু চুরির নয়, বরং চুরির আড়ালে সমাজ, রাজনীতি ও ক্ষমতার গল্প। একজন কথক সমগ্র কাহিনি বর্ণনার ছলে দর্শকদের ঘুরিয়ে আনেন এক রঙিন লোকজ জগতে, যেখানে পাইচো চোর নিজেই হয়ে ওঠে বীর, প্রতারক আর প্রতিচ্ছবি।

আরো পড়ুন:

ফের মঞ্চে ‘উনপুরুষ’

শিল্পকলায় ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন—কাজী শিলা, শ্যামল হাসান, সালাউদ্দিন রাহাত, কিরণ জাকারিয়া, কাজী সম্রাট, আলামিন স্বপন, সুমন ঘোষ, জয়া, সজল, সিরাজুম মনিরা ইকরা, মীর ফারজানা আক্তার নীপা, বর্ণালী আহমেদ সেতু, চন্দ্রিমা মল্লিক তন্দ্রা, কবির বাউল, শংকর কুমার মন্ডল প্রমুখ।

লোকজ সুর, হাস্যরস, নাট্যগম্ভীরতা ও নাট্যব্যঞ্জনায় ভরপুর এই নাটক মঞ্চে আবারো প্রমাণ করতে চায়—বাংলার মাটির গল্প কখনো পুরোনো হয় না, বরং বারবার ফিরে আসে নতুন গন্ধ মেখে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ