নিউ জিল্যান্ডের প্রথম বড় আইসিসি টুর্নামেন্ট জয়
Published: 10th, February 2025 GMT
২০০০ সালে কেনিয়ায় আয়োজিত আইসিসি নকআউট ট্রফির দ্বিতীয় আসরে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।সেবার আয়োজক কেনিয়াসহ মোট ১১টি দেশ অংশ নেয়। যেহেতু নকআউট ট্রফি, সেহেতু কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে ৮টি দল।
নিয়মানুযায়ী ৩টি দলকে বাদ দিতে হবে। আর সেটা করা হয় প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে। র্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচটি দল (পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে) সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। বাকি দলগুলোকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হয়। তাতে অংশ নেয় ভারত, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ ও কেনিয়া।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ পায় ইংল্যান্ডকে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান করে। জাভেদ ওমর ৮৪ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে ৮ উইকেট ও ৩৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের নাসের হুসেন ১২০ বলে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের মোহাম্মদ রফিক ১টি উইকেট নেন। বাংলাদেশকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শেষ আটে যায় শ্রীলঙ্কা। আর স্বাগতিক কেনিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ভারতও কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায়। কেনিয়ার বিপক্ষের এই ম্যাচে অভিষেক হয় ভারতের জহির খান, যুবরাজ সিং ও বিজয় দাহিয়ার।
কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তান পায় শ্রীলঙ্কাকে। নিউ জিল্যান্ড পায় জিম্বাবুয়েকে। ভারত পায় শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে। আর ইংল্যান্ড পায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনালে ওঠে পাকিস্তান, নিউ জিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বিদায় নেয় শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে।
সেমিফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। আর দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় ভারত। নিউ জিল্যান্ড পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে ও ভারত প্রোটিয়াদের ৯৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।
১৫ অক্টোবর নাইরোবির জিমখানা ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলি ও শচীন টেন্ডুলকারের অসাধারণ উদ্বোধনী জুটিতে ১৪১ রান তোলে ভারত। এরপর ব্যক্তিগত ৬৯ রানে আউট হন শচীন। কিন্তু সৌরভ তুলে নেন সেঞ্চুরি। সৌরভের ১১৭ ও শচীনের ৬৯ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান সংগ্রহ করে ভারত।
এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নিউ জিল্যান্ড। ৬ রানে প্রথম, ৩৭ রানে দ্বিতীয় ও ৮২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় কিউইরা। এরপর ১০৯ রানে চতুর্থ ও ১৩২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০২) করে নিউ জিল্যান্ডকে শিরোপা জেতান ক্রিস কেয়ার্নস। তার সঙ্গে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন ক্রিস হ্যারিস। তাতে ৪৯.
ভারতের ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ৭ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন অনিল কুম্বলে। ফাইনালের ম্যাচসেরা হন নিউ জিল্যান্ডের ক্রিস কেয়ার্নস।
এক নজরে আইসিসি নকআউট ট্রফি-২০০০
তারিখ : ৩ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর-২০০০
আয়োজক : কেনিয়া
ফরম্যাট : ওয়ানডে ইন্ডারন্যাশনাল
টুর্নামেন্ট : নকআউট ভিত্তিক
অংশগ্রহণকারী দেশ : ১১টি
মোট ম্যাচ : ১০টি
চ্যাম্পিয়ন : নিউজিল্যান্ড
রানার্স-আপ : ভারত
সবচেয়ে বেশি রান : ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলি (৩৪৮)
সবচেয়ে বেশি উইকেট : ভারতের ভেঙ্কটেশ প্রসাদ (৮ উইকেট)।
ঢাকা/আমিনুল/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য় র ট র ফ ইন ল খ ল উইক ট হ র য় ৮ উইক ট আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’