গায়ক হার্ডিকে সত্যি আটক করেছিল পুলিশ?
Published: 10th, February 2025 GMT
গত শনিবার রাতে চণ্ডীগড় পুলিশ আটক করে জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা হার্ডি সান্ধুকে। যদিও পরে ছেড়ে দেওয়া হয় এই গায়ককে। ভারতের অধিকাংশ প্রথম সারির গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
হার্ডির আটক ও তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। প্রশ্ন উঠেছে— সত্যি কি তাকে আটক করেছিল পুলিশ? এই প্রশ্নের আগুনে ঘি ঢেলেছে পুলিশের বক্তব্য।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চণ্ডীগড় পুলিশ জানিয়েছে, জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও বলিউড অভিনেতা হার্ডি সান্ধুকে আটক করেনি পুলিশ। তাকে পুলিশ ভ্যানে ২-৩ মিনিট বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কারণ ফ্যাশন শোয়ের অনুমতি নিয়ে একটা জটিলতা ছিল।
আরো পড়ুন:
বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে কারিনার রহস্যময় পোস্ট, উড়ছে নানা জল্পনা
বক্স অফিসে কত টাকা আয় করল আমির-শ্রীদেবীর পুত্র-কন্যা?
একটি সূত্র বলেন, “শনিবার সেক্টর ৩৪ ফ্যাশন শোটি আয়োজন করে; যেখানে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও সান্ধুর পরিবেশনা ছিল। তবে সান্ধুর সংগীত পরিবেশনার ঠিক আগে, তাকে আটক করা হয়।”
অনুষ্ঠানের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গায়ক কেবল সাউন্ড সিস্টেম পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় পুলিশ আশঙ্কা করেন, হার্ডি গান গাইবেন। এরপরই তাকে আটক করা হয়।
সর্বশেষ অনুষ্ঠানে পারফর্ম না করেই হার্ডি শহর ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
‘টাকিলা শট’ হার্ডির প্রথম গান। কিন্তু তার গাওয়া দ্বিতীয় গান ‘সোচ’ প্রকাশের পরই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। এরপর ‘ব্যাকবোন’, ‘কেয়া বাত হ্যায়’, ‘বিজলি বিজলি’-এর মতো গান গেয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ