গত শনিবার রাতে চণ্ডীগড় পুলিশ আটক করে জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা হার্ডি সান্ধুকে। যদিও পরে ছেড়ে দেওয়া হয় এই গায়ককে। ভারতের অধিকাংশ প্রথম সারির গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।

হার্ডির আটক ও তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। প্রশ্ন উঠেছে— সত্যি কি তাকে আটক করেছিল পুলিশ? এই প্রশ্নের আগুনে ঘি ঢেলেছে পুলিশের বক্তব্য।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চণ্ডীগড় পুলিশ জানিয়েছে, জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও বলিউড অভিনেতা হার্ডি সান্ধুকে আটক করেনি পুলিশ। তাকে পুলিশ ভ্যানে ২-৩ মিনিট বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কারণ ফ্যাশন শোয়ের অনুমতি নিয়ে একটা জটিলতা ছিল।  

আরো পড়ুন:

বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে কারিনার রহস্যময় পোস্ট, উড়ছে নানা জল্পনা

বক্স অফিসে কত টাকা আয় করল আমির-শ্রীদেবীর পুত্র-কন্যা?

একটি সূত্র বলেন, “শনিবার সেক্টর ৩৪ ফ্যাশন শোটি আয়োজন করে; যেখানে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ ও সান্ধুর পরিবেশনা ছিল। তবে সান্ধুর সংগীত পরিবেশনার ঠিক আগে, তাকে আটক করা হয়।”

অনুষ্ঠানের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গায়ক কেবল সাউন্ড সিস্টেম পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময় স্থানীয় পুলিশ আশঙ্কা করেন, হার্ডি গান গাইবেন। এরপরই তাকে আটক করা হয়।

সর্বশেষ অনুষ্ঠানে পারফর্ম না করেই হার্ডি শহর ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

‘টাকিলা শট’ হার্ডির প্রথম গান। কিন্তু তার গাওয়া দ্বিতীয় গান ‘সোচ’ প্রকাশের পরই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। এরপর ‘ব্যাকবোন’, ‘কেয়া বাত হ্যায়’, ‘বিজলি বিজলি’-এর মতো গান গেয়ে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ