আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০০২: দুইদিনেও হয়নি শিরোপার ফয়সালা
Published: 11th, February 2025 GMT
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০২ সালে ‘‘আইসিসি নক আউট ট্রফির’’ নামকরণ করা হয় ‘‘আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’’ নামে। সেই থেকে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নামেই আয়োজিত হচ্ছে মিনি বিশ্বখ্যাত এই আসর।
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তৃতীয় আসর বসে শ্রীলঙ্কায়। ২০০২ সালের ওই আসরটি ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতে ট্যাক্স থেকে ছাড় না দেওয়ায় সেটি শ্রীলঙ্কাতে অনুষ্ঠিত হয়। ওই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনকারী দল ছিল ১২টি। দুটি সেমিফাইনাল এবং একটি ফাইনাল সহ মোট ১৫ ম্যাচ খেলা হয়েছিল।
সবগুলো ম্যাচ কলম্বোর দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। একটি হচ্ছে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম এবং অপরটি সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ড।
আরো পড়ুন:
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পরিবর্তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে আম্পায়ার যারা
১০ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে ২০০২ আসরে যুক্ত হয়েছিল কেনিয়া এবং নেদারল্যান্ডস। দলগুলো চারটি গ্রুপের আওতাভুক্ত ছিল। প্রতিটি গ্রুপে ছিল ৩টি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল পরস্পরের সঙ্গে একবার করে মুখোমুখি হয়েছিল। আর চার গ্রুপের সেরা দল অংশ নেয় সেমিফাইনালে।
প্রথম সেমিফাইনালে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ভারত। ফাইনাল ম্যাচটি ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে দুইবার অনুষ্ঠিত হলেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। ২৯ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভার ব্যাটিংয়ের পর ভারত মাত্র ২ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায়। বৃষ্টির জন্য সেদিন খেলা বিঘ্নিত হয়।
পরদিন শ্রীলঙ্কা পুনরায় ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও ভারত ৮ ওভার ব্যাটিং করতে সক্ষম হয়।আবারো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। অবশেষে আয়োজক কমিটি উভয় দলকে যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। দল দু’টি ১১০ ওভার খেললেও কোন ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়। ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র শেবাগ (২৭১)। আর ১০ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন লঙ্কান বোলার মুত্তিয়া মুরালিধরন।
২০০২ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টোটাল প্রাইজমানি ছিল ১.
এক নজরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০০২
তারিখ : ১২সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর-২০০২
আয়োজক : শ্রীলঙ্কা
ফরম্যাট : ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল
টুর্নামেন্ট : রাউন্ড-রবিন
অংশগ্রহণকারী দেশ : ১২টি
মোট ম্যাচ : ১৫টি
চ্যাম্পিয়ন : যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা
সবচেয়ে বেশি রান : ভারতের বীরেন্দ্র শেবাগ (২৭১)
সবচেয়ে বেশি উইকেট : শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (১০ উইকেট)।
ঢাকা/ইয়াসিন
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ফ ইন ল উইক ট আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ বছর পর রিয়ালে ব্যালন ডি’অরজয়ী কেউ রইলেন না
ক্লাব বিশ্বকাপ খেলেই চলতি মাসে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে এসি মিলানে যোগ দিয়েছেন লুকা মদরিচ। ক্রোয়াট কিংবদন্তির প্রস্থানে শূন্য হয়েছে রিয়াল–সমর্থকদের হৃদয় থেকে ক্লাবটির ড্রেসিংরুম। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের ট্রফি কেবিনেটে ২৮টি শিরোপায় ঘাম জমে আছে মদরিচের। তাঁর ব্যক্তিগত ট্রফি কেবিনেটও হয়েছে সমৃদ্ধ। রিয়ালে থাকতেই ২০১৮ সালে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। মদরিচের প্রস্থানের সঙ্গে রিয়ালেও ব্যালন ডি’অরজয়ী আর কেউ রইলেন না।
আরও পড়ুনসেই কলম্বিয়ার কাছে হেরেই কোপার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় আর্জেন্টিনার১ ঘণ্টা আগেচলতি শতাব্দীর প্রথম চতুর্থাংশে, অর্থাৎ গত ২৫ বছরে এমন কিছু কখনো দেখা যায়নি। আরেকটু ভেঙে বলা যায়, গত ২৫ বছরে রিয়ালের স্কোয়াডে এমন অন্তত একজন খেলোয়াড় ছিলেন যিনি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। মদরিচের চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আড়াই দশক পর ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়শূন্য হয়ে পড়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। গত ২৫ বছরে ৮ জন ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়কে ড্রেসিংরুমে পেয়েছে রিয়াল।
বর্ষসেরার ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর দেওয়া শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। সেবার জেতেন ব্ল্যাকপুলের ইংরেজ কিংবদন্তি স্ট্যানলি ম্যাথুজ। পরের তিনটি বছরেই এই ট্রফি উঠেছে রিয়ালের ঘরে। ১৯৫৭ ও ১৯৫৯ সালে জেতেন কিংবদন্তি আলফ্রেদো ডি স্টেফানো এবং তার মাঝখানে ১৯৫৮ সালে জেতেন ফরাসি কিংবদন্তি রেমন্ড কোপা।
অবিশ্বাস্য ব্যাপার, এরপর চার দশকের বেশি সময় রিয়ালে ব্যালন ডি’অর জয়ী কাউকে দেখা যায়নি। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ২০০০ সালে ক্লাবটির সভাপতি হওয়ার পর ‘গ্যালাকটিকোস’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে দলে ভেড়ান বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের। সেই পথ ধরেই ২০০০ সালের জুলাইয়ে রিয়ালে নাম লেখান পর্তুগিজ কিংবদন্তি লুইস ফিগো। সে বছরের ১৯ ডিসেম্বর ব্যালন ডি’অর জেতেন ফিগো এবং শুরু হয় রিয়ালের ২৫ বছরের ধারা—যেখানে ড্রেসিংরুমে অন্তত একজন ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়কে দেখা গেছেই।
আরও পড়ুনগার্দিওলার এ কোন চেহারা, ভাবনায় ফেললেন ভবিষ্যৎ নিয়েও১২ ঘণ্টা আগেফিগো যোগ দেওয়ার পরের বছর রিয়ালে নাম লেখান জিনেদিন জিদান। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতায় সে বছরই ব্যালন ডি’অর জেতেন ফরাসি কিংবদন্তি। ২০০২ সালে যোগ দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও। ১৯৯৭ সালে ব্যালন ডি’অর জেতার পাশাপাশি ২০০২ সালে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতানোয় সে বছরও বর্ষসেরার এ ট্রফি জেতেন রোনালদো।
২০০৪-০৫ মৌসুমে রিয়ালে ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড় ছিলেন চারজন—ফিগো, জিদান, রোনালদো ও মাইকেল ওয়েন। ফিগো ও ওয়েন ২০০৫ সালে রিয়াল ছাড়েন, রোনালদো ২০০৭ সালে। এর মধ্যেই অবশ্য ব্যালন ডি’অরজয়ী আরেকজনকে দলে ভেড়ায় রিয়াল। ২০০৬ সালে উড়িয়ে আনা হয় ইতালির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফাবিও কানাভারোকে। সে বছরই ব্যালন ডি’অর জেতেন কানাভারো। রোনালদোর প্রস্থানের পর প্রায় আড়াই বছর রিয়ালের স্কোয়াডে একমাত্র ব্যালন ডি’অরজয়ী হিসেবে দিন কেটেছে কানাভারোর।
কানাভারো রিয়াল ছাড়েন ২০০৯ সালে। সে বছরই ক্লাবটিতে যোগ দেন ২০০৭ সালে ব্যালন ডি’অরজয়ী কাকা ও ২০০৮ সালে জয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২২ সালে ব্যালন ডি’অরজয়ী করিম বেনজেমাও রিয়ালে নাম লেখান সে বছর (২০০৯)।
রোনালদো এরপর ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জেতেন ব্যালন ডি’অর। ২০১৮ সালের মে মাসে রোনালদো রিয়াল ছাড়েন। এরপর মাত্র কয়েক মাস ব্যালন ডি’অরজয়ী খেলোয়াড়শূন্য ছিল রিয়াল। শূন্যতাটা ঘুচে যায় সে বছরই ৩ ডিসেম্বর মদরিচ ব্যালন ডি’অর জেতায়। এরপর বেনজেমা ব্যালন ডি’অর জিতলেও ২০২৩ সালে তিনিও রিয়াল ছাড়েন। থেকে গিয়েছিলেন শুধু মদরিচ। তাঁর প্রস্থানের মধ্য দিয়ে রিয়ালে এখন ব্যালন ডি’অর জয়ী কেউ রইলেন না।
তবে ইঙ্গিত আছে জয়ের। গত বছর ব্যালন ডি’অর জয়ে রদ্রির সঙ্গে পেরে ওঠেননি রিয়ালের উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। যদিও চলতি বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে রিয়ালের খেলোয়াড়েরা বেশ পিছিয়ে। কিন্তু নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীন নিশ্চয়ই এ খরা ঘুচিয়ে ফেলবে রিয়াল—সমর্থকেরা সে আশায় বুক বাঁধতেই পারেন।