গেইল না ক্যালিস, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সেরা কে
Published: 11th, February 2025 GMT
‘জ্যাক অব অল ট্রেড’ বা ‘সকল কাজের কাজী’ই ছিলেন জ্যাক ক্যালিস। ব্যাট হাতে কার্যকর সব ইনিংস খেলতেন, বল হাতেও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম ভরসা ছিলেন সাবেক এই খেলোয়াড়। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার—ক্যালিসকে পরিচয় করিয়ে দিতে এই শব্দগুলো ব্যবহার করতে দুবার ভাবতে হয় না।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকার অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার প্রথম মঞ্চটা ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ১৯৯৮ সাল, জগমোহন ডালমিয়ার ক্রিকেট বিশ্বায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ঢাকায় বসে উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ। তবে পোশাকি এই নামে নয়, টুর্নামেন্টটি সাধারণ্যে পরিচিতি পেয়েছিল নকআউট বিশ্বকাপ নামেই। পরে যেটি নাম বদলে হয়ে যায় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
১৯৯৮ সালে ঢাকায় সেই টুর্নামেন্টেই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে সত্যিকারের অলরাউন্ডার হিসেবে মেলে ধরেন ক্যালিস। ব্যাট হাতে তিন ম্যাচে ১৬৪ রান করা ক্যালিস, বল হাতে নেন ৮ উইকেট। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ক্যালিস ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট। ২৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকাই রাখেন ক্যালিস। তাঁকে ফাইনাল ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি দিতে দুবার ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের।
১৯৯৮ নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে জ্যাক ক্যালিস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
এভাবেও ফিরে আসা যায়
খেলার মাঠে খেলা তো হয়ই, এর বাইরে হয় বিচিত্র অনেক কিছুই। মাঠে ও মাঠের বাইরের বিচিত্র সব ঘটনা নিয়েই এ আয়োজন।
হার দিয়ে শুরু, চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ—ইংল্যান্ডের নারী ইউরো জয়ের পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না এবার। নকআউট পর্বে তো প্রতিটি ম্যাচেই শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল দলটি। আর তাতে বিরল কীর্তিতেও নাম উঠে গেছে দলটির। ফুটবল ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় দল ইংল্যান্ড, যারা নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই পিছিয়ে পড়ার পর শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রথম দলটিও একটি নারী দল, আর সেই টুর্নামেন্টও ছিল মহাদেশীয়। ২০২২ সালে নারী এশিয়ান কাপে চীনের শিরোপা জয়ের পথটাই যেন ছিল একটানা নাটকীয়তা আর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প। কোয়ার্টার ফাইনালে ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিল তারা, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতে ৩-১ ব্যবধানে। সেমিফাইনালে জাপানের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়ে দুবারই সমতায় ফেরে চীন, দ্বিতীয় গোলটি আসে ১১৯তম মিনিটে। টাইব্রেকারে গিয়েও দশম ও শেষ শটের আগে তারা একবারের জন্যও এগিয়ে ছিল না।
তবে ফাইনালে সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল চীন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথেও একই স্কোরলাইন। এরপর ট্যাং জিয়ালির পেনাল্টি থেকে আসে এক গোল, ৭২তম মিনিটে ঝাং লিনইয়ান সমতায় ফেরান দলকে। আর অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে বদলি খেলোয়াড় শিয়াও ইউইয়ের গোলে লেখা হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রত্যাবর্তনের অন্যতম সেরা গল্প।
২০২২ সালে মেয়েদের এশিয়ান কাপজয়ী চীন