ক্লাসিকোর আগে আনচেলত্তির মাথা ব্যাথার কারণ গার্দিওলা
Published: 11th, February 2025 GMT
ক্লাসিকো বললেই মনের আয়নায় সবার আগে ভেসে উঠে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার লড়াই, ‘এল ক্লাসিকো’ নামে যা সারা বিশ্বে পরিচিতি। এক যুগ আগেও এই লড়াইটি ছিল সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রে। তবে সেই ঝাঁজটি এখন যেন ভর করেছে রিয়াল আর ম্যানচেস্টার সিটির দ্বৈরথে। এই লড়াইয়ের নতুন কেতাবি নাম ‘ক্লাসিকো’! নামটি যখন স্বয়ং রিয়াল বস আনচেলত্তির দেওয়া, তখন সংবাদমাধ্যম তা না লুফে পারে না।
আগামী দিনগুলোতে রিয়াল-সিটি দ্বৈরথই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠবে ফুটবল প্রেমীদের কাছে, পাশাপাশি গার্দিওলা ও আনচেলত্তির ডাগ আউটের গল্পগুলোও। সবশেষ কয়েক মৌসুমে ইউরোপীয় ফুটবলকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে এই দুই দল এবং দুই ম্যানেজার। এই দ্বৈরথগুলো ফুটবলের সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের একটি জীবন্ত সাক্ষ্য হয়ে উঠেছে।
এরআগে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুল। যেখানে ২০২১-২২ এবং ২০২৩-২৪ মৌসুমে জয় পেয়েছিল রিয়াল। অন্যদিকে সিটি জিতেছিল ২০২২-২৩ মৌসুমে। তবে এবার তাদের দেখা হয়ে যাচ্ছে প্লে-অফেই।
আরো পড়ুন:
ভঙ্গুর সিটির পরীক্ষা নেবে রক্ষণের বিশ্বস্ত যোদ্ধাবিহীন রিয়াল
বিতর্কিত পেনাল্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি দুই মাদ্রিদের: আড়ালে বার্সার হাসি
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে এই দুই দল। ম্যাচ পূর্বরর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল বস আনচেলত্তি বলেন, “এটাকে এখন ‘মর্ডান ক্লাসিকো’র মতোই মনে হচ্ছে। কারণ আমরা তাদের বিপক্ষে অনেক বছর ধরেই খেলে আসছি। আমার মনে হয়, বরারবরের মতোই বিনোদনদায়ী ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। এই লড়াই এতটাই উঁচু মানের যে, খেলার প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেরাটা মেলে ধরতে হবে, স্রেফ একটি দিক তুলে ধরলে চলবে না।”
২০২২ সালে সেমি-ফাইনালে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৫-৬ অ্যাগ্রিগেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে পরে শিরোপা জয় করে লস ব্ল্যাঙ্কসরা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেবার সেকেন্ড লেগের অতিরিক্ত সময়ে ৩ গোল করে রিয়াল এই অবিস্মরণীয় জয় নিয়ে আসে।
শেষ কয়েক বছরের এই সমস্ত দ্বৈরথের কথা মাথায় রেখেই আনচেলত্তি প্রশংসা করলেন সিটি এবং তাদের ম্যানেজারের, “তারাই (সিটি) এখন সবচেয়ে শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপক্ষ। এবং সে (গার্দিওলা) সেরা ম্যানেজার। এই লড়াই থেকে যে দলই সামনে এগোবে, সেই দলেরই টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এটাই দেখা গেছে।”
গার্দিওলার মুখোমুখি হওয়াটা প্রতিবারই একটা মাথাব্যাথার কারণ বলেও উল্লেখ করেছেন এই ইতালিয়ান ম্যানেজার, “বাস্তবতা হলো, ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচ সবসময়ই দুর্ভাবনার। গুয়ার্দিওলা এমন একজন কোচ, যে ফুটবল খেলাটায় অনেক কিছু বয়ে এনেছে, সে উদ্ভাবনী একজন, তার প্রতি আমার সম্মান অনেক। সে সেরাদের একজন, যদি সেরা নাও হয়।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’