বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আন্তঃবিভাগ ভলিবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে খেলার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।

ছাত্রীদের ভলিবল খেলায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ছাত্রদের ভলিবল খেলায় অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগ বিজয়ী হয় ।

বিকেলে উৎসবমুখর পরিবেশে ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ব্যাডমিন্টন খেলায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে পরাজিত করে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ছেলেদের ব্যাডমিন্টন খেলায় মার্কেটিং বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গণিত বিভাগ।  

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাটি খুবই চমৎকারভাবে শেষ হয়েছে। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখে এবং নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ক্রীড়াচর্চার মাধ্যমে অর্জিত ইতিবাচক মানসিকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে ও দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

বেরোবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড.

মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, বিজয় ২৪ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. আমির শরীফ, শহীদ ফেলানী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোছা. সিফাত রুমানা, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ফেরদৌস রহমান, প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান প্রমুখ।

ঢাকা/সিয়াম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ