পিকাসোর ছবিতে রহস্যময় নারীর সন্ধান
Published: 12th, February 2025 GMT
বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর পাবলো পিকাসোর আঁকা একটি অপ্রকাশিত ছবিতে রহস্যময় এক নারীর প্রতিকৃতি প্রকাশ পেয়েছে। ছবিটিতে পিকাসোর একজন ভাস্কর বন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ওই নারীর অবয়ব, যা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। ছবিটিতে ওই নারীর মাথা ও শরীরের রূপরেখা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ছবিটিতে পুরোনো শিল্প রহস্য লুকিয়ে আছে, যাতে তৎকালীন প্রযুক্তিগত দক্ষতার পরিচয় ফুটে উঠেছে।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটির শিরোনাম ‘পোর্ট্রেট অব মাতেউ ফার্নান্দেজ ডি সোটো’। ১৯০১ সালে, অর্থাৎ ১২৫ বছর আগে এই ছবিটি আঁকা হয়েছিল, যখন ছিল পিকাসোর বিখ্যাত নীল যুগের সূচনাকাল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিল্পকর্মটির বিশ্লেষণে লুকানো নারীর প্রতিকৃতি সম্পর্কে আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। তবে ওই নারী কে ছিলেন, তা হয়তো কখনও জানা সম্ভব হবে না।
চিত্র গবেষকরা উন্নত ইনফ্রারেড ও এক্স-রে ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে লুক্কায়িত নারীর অবয়ব চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তাতে তাঁর (নারীর) আঙুল, বাঁকা কাঁধ এবং চুল স্পষ্ট দৃশ্যমান। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্যারিসে নারীরা যেভাবে চুলে স্টাইল করতেন, ছবির নারীর চুলের স্টাইল সেরকম। তবে একই সময়ে পিকাসোর আঁকা অন্য নারীদের সঙ্গে এই নারীর অবয়বের কিছুটা মিল রয়েছে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, ওই নারী হয়তো প্যারিসের একজন মডেল ছিলেন। এমনকি তিনি একজন প্রেমিকাও হতে পারেন, যিনি ছবিটি আঁকার জন্য পোজ দিচ্ছিলেন। সিএনএন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রহস য
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’