দেশে বাণিজ্যিক ফুল চাষের জনক শের আলী মারা গেছেন
Published: 12th, February 2025 GMT
দেশে বাণিজ্যিক ফুল চাষের জনক শের আলী সরদার মারা গেছেন। বুধবার ভোররাতে যশোরের ঝিকরগাছার গদখালি পানিসারা গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যন তিনি। তার বয়স হয়েছিল আটাত্তর বছর। ব্রেইন স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন তিনি শয্যাসায়ী ছিলেন।
বুধবার বাদ যোহর শের আলীর বাড়ি সংলগ্ন হিমাগারের সামনে প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর গদখালি ফুল বাজারে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
শের আলী সরদারের হাত ধরে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু বাণিজ্যিক ফুল চাষের। তার দেখানো পথ ধরে এখন শুধু যশোরে ফুল চাষের ওপর নির্ভরশীল ছয় হাজার মানুষ। বাণিজ্যিক ফুল চাষের ব্যাপ্তি ঘটেছে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও।
এদিকে ফুলচাষের প্রসারে ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে নীরবে কাজ করে চলা শের আলী সরদারের মেলেনি রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি। জীবদ্দশায় তাকে জাতীয় পদক প্রদানের দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শের আলীর স্বজন ও স্থানীয় ফুল চাষীরা।
স্থানীয় ফুলচাষী ও ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশের কৃষি ও অর্থনীতিতে বিপ্লব সৃষ্টিকারী ছিলেন শের আলী সরদার। কিন্তু তার সেই অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না মেলাটা খুবই দুঃখজনক।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা
ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা—দু’জায়গাতেই নিজের অভিনয়গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার সেই সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা মুখ খুললেন ভাবনা।
আরো পড়ুন:
সিনেমায় জুটি বাঁধলেন ইয়াশ-তটিনী
‘বেহুলা দরদী’ রূপে পর্দায় স্নিগ্ধা
এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে ভাবনা বলেন, “একজন লুকিয়ে লুকিয়ে লিখছে, যার নামহীন একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট—না কোনো নাম, না কোনো পরিচয়! এখন সে কোথায় বসে কী লিখছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”
তার মতে, ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে আসা সমালোচনা বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কখনো তার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে না। ভাবনা বলেন, “যারা নিজেদের মুখ লুকিয়ে কথা বলে, তাদের মতামত আমার কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না।”
অভিনেত্রীর ভাষায়, নিজের কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখাই তার মূল নীতি। সমালোচনা বা প্রশংসা—দুটোই তিনি সামলান এক ধরনের ভারসাম্যের সঙ্গে। ভাবনা বলেন, “আমি জানি, আমি কী করছি। কারো ভালো লাগা বা খারাপ লাগা আমার কাজের মান নির্ধারণ করে না। আমি আমার পথেই থাকব, এটাই আমার বিশ্বাস।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত