তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন নতুন ও অভিজ্ঞ চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির সুযোগ নিয়ে ‘আইটি জব ফেয়ার’ শীর্ষক চাকরি মেলার আয়োজন করেছে অনলাইনে চাকরি খোঁজার প্রতিষ্ঠান ‘বিডি জবস’। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এ মেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

সকাল থেকে মেলায় চাকরিপ্রার্থীরা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। বিডি জবসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেলায় আসার জন্য ২২ হাজার চাকরিপ্রার্থী নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ১০ হাজার প্রার্থী মেলায় এসেছেন।

আরও পড়ুনডাক অধিদপ্তরে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫৩ ঘণ্টা আগে

তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ৮০টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। সকাল থেকে মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সিভি দিচ্ছেন। ই-মেইলে ও স্ক্যান করে সিভি নেওয়া হচ্ছে। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ডিজিটাল মার্কেটিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পদের চাহিদা বেশি দেখা গেছে।

ঢাকার বাইরে থেকেও অনেকে এসেছেন মেলায়। খুলনা থেকে আসা হানিফ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য কম্পিউটার সায়েন্সে চার মাস আগে স্নাতক পাস করে বের হয়েছি। চাকরির জন্য মেলায় এসেছি। তিনটি প্রতিষ্ঠানে সিভি দিয়েছি।’

মেলায় আসা আহসানুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল মাকের্টিংয়ে তিন বছর ধরে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ভালো চাকরির আশায় এখানে সিভি দিতে এসেছি। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে কথা বলে সিভি দিলাম। তারা দুই সপ্তাহের মধ্যে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকবে।’

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মেলায় অংশ নেওয়া ওয়েবস এক্সপ্রেসের সহপ্রতিষ্ঠাতা হৃদয় কৃষ্ণ বেপারী প্রথম আলোকে জানান, মোট সাতটি পদের জন্য সিভি নিচ্ছেন তাঁরা। দুপুর পর্যন্ত প্রায় দেড় শ সিভি জমা পড়েছে। এর মধ্যে তিন মাসের জন্য পেইড ইন্টার্নও নেওয়া হবে।

বিডি কলিংয়ের অপারেশন এক্সিকিউটিভ রেবেকা শারমীন জানান, চারটি পদের জন্য সিভি নিচ্ছেন তাঁরা। যাঁরা সিভি দিচ্ছেন, তাঁদের সিভি যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই ভাইভার জন্য ডাকা হবে।

মেলায় তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সিভি দিচ্ছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর প র র থ র জন য চ কর র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ