আর কোন ফ্যাসিবাদ বাংলার জনগণ দেখতে চায় না : মাও. দেলোয়ার
Published: 12th, February 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা উত্তর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাকী বলেন, আমরা অভূতপূর্ব ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিলুপ্ত করেছি। পরবর্তীতে আমরা কি দেখলাম সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ঐক্য দুটি ভাগ হয়ে গেছে।
ফ্যাসিবাদে জায়গাগুলো অন্য একটি দল দখল করে নিয়েছে। তাই আর কোন ফ্যাসিবাদ বাংলার জনগণ দেখতে চায় না। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাত পাকা মার্কা নিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছে।
সোনারগাঁয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাদিপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে নয়াপুর সম্মেলন মাঠে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সাংবাদিক আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে মাওলানা ফজলুল হক এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহা জাহাঙ্গীর কবির।
এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ আমানুল্লাহ ও এসিস্টেন্ট জয়েন্ট সেক্রেটারি ফারুক আহাম্মাদ মুন্সী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন , দ্বীনি সংগঠন নারায়ণগঞ্জ জেলার ক্যাশিয়ার হাজী গোলাম মোস্তফা,হাজী নুরুল আমিন খান,হাফেজ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন
জাতীয় নির্বাচনে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসায় সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলার সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার, নির্বাচন অফিস ঘেরাওয়ের ঘোষণা
নড়াইলে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বা কিছু আসন বেশি পাওয়ার লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ যদি পিআর চায় সেটা ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনবে।”
তিনি আরো বলেন, “উচ্চ-নিম্ন সবক্ষেত্রেই আমরা পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে। তারা ইশতেহার নিয়ে জনগণের কাছে যাক, ম্যান্ডেট নিয়ে তারা তাদের ভাবনা বাস্তবায়ন করুক।”
জামায়াতসহ কয়েকটি দলের আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন,“যারা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাদের দাবি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি আলোচনাধীন। এমন সময় আন্দোলন করা কতটা উচিত, সেটা জনগণ দেখবে।”
স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাহী আদেশে নয়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সমাধান হোক।”
নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পরিণাম ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর চর্চায় রূপ নিবে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে গেলে স্বৈরাচারের সঙ্গে যুক্ত ২৮টি দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন কাদের নিয়ে হবে? এটার উদ্দেশ্য এমন হতে পারে যে, নিজেদের অতিরিক্ত সুবিধা নিতে আন্দোলনকারীরা আরো দলের নিষিদ্ধের দাবি জানাতে পারে। এতে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে। এ সূত্র ধরে পতিত শক্তি সুযোগ নেবে।”
স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে না পারলে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ