দায়সারা উচ্ছেদ নয়, স্থায়ী সমাধান চান ব্যবসায়ীরা
Published: 13th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে সওজের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ফলের দোকানসহ পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শুধু দায়সারা উচ্ছেদের নয়, এর স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়। সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মঞ্জুর মোর্শেদ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
জানা যায, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় রাস্তার দুই পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে তিনটি কাঁচাবাজারসহ দুই হাজারের বেশি অবৈধ দোকানপাট গড়ে তোলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগসাজশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মাসোহারা পেয়ে থাকেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলা প্রশাসন একদিকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে যান অপরদিকে, প্রভাবশালীরা আগের চেয়ে বেশি দামে দোকান দিতে উঠেপড়ে নামেন। কোনো জায়গায় আগে ব্যবসা করা ব্যবসায়ী তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারলে অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে জায়গা দিয়ে দেন। জায়গার জন্য অগ্রিম প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা ও দৈনিক ১০০ থেকে ১২শ টাকা ভাড়া বাবদ আদায় করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, কিছুদিন পরপর লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান না করে, মহাসড়কে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে ও ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহেদ মোর্শেদ বলেন, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যাতে এই জায়গাগুলোতে কোনোভাবেই অবৈধ দোকানপাট না বসতে পারে। এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
সোনারগাঁ ইউএনও ফারজানা রহমান বলেন, তিনি এর আগেও এখানে উচ্ছেদ করেছেন। উচ্ছেদের পর নতুন করে দোকানপাট বসাতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেউ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিলে এবং এর প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী তাদের জন্য স্থায়ীভাবে কিছু করার চিন্তাভাবনা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটায় সওজকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা
পাহাড় কাটার অভিযোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সওজ প্রায় ৩৫ শতক পাহাড় কেটেছে। তদন্ত শেষে আজ বুধবার জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ রসায়নবিদ গোলাম বাশির আহমেদ প্রথম আলোকে জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইন অমান্য করে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে।
সওজের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন দাবি করেন, তাঁরা জনস্বার্থে পাহাড় কেটে সেতু তৈরি করেছেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর যে পরিমাণ উল্লেখ করেছে, সে পরিমাণ পাহাড় কাটা হয়নি। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রামে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ‘বারাইয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক সম্প্রসারণ (এলওসি-৩)’ প্রকল্পের কাজে ওই পাহাড় কাটা হয়। এ সড়কের ১৭টি এলাকায় পাহাড় কাটা হয়। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গিয়ে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। এক বছরের মাথায় গত ৪ নভেম্বর আরেক দফা তদন্ত করা হয়। দুবার তদন্ত করে মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৭০ ঘনফুট বা ৩৪ দশমিক ৯২ শতক পাহাড় কাটার হিসাব বের করা হয়।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, আজ সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে শুনানি হয়। এরপর জরিমানা করা হয়।