শহীদ ড. জোহা দিবসকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবিতে গণস্বাক্ষর
Published: 13th, February 2025 GMT
শহীদ ড. জোহা দিবসকে ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ ঘোষণার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব।
এ সময় উপাচার্য বলেন, “উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ড.
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অবিলম্বে শহীদ ড. জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার জোর দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন ও অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদ, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আরিফুল ইসলাম, রিকশাচালক আনছার আলীসহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ’ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি রায়হান ইসলাম বলেন, “স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে শহীদ জোহার অবদান অসামান্য। এই দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সেটা হয়নি। যা মহান এই শিক্ষকের আত্মত্যাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ইতিহাসের অমর্যাদা। অবিলম্বে শহীদ ড. জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জানাই। এই গণস্বাক্ষর ও গণবিবৃতি কর্মসূচি চলবে।”
সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা ছিলেন বাঙালি শিক্ষাবিদ। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (তৎকালীন রিডার) ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব পালনকালে ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন তিনি।
সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহার জন্ম ১৯৩৪ সালের ১ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলায়।
ঢাকা/ফাহিম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির গোয়েন্দাপ্রধানসহ ৩ ইরানি জেনারেল নিহত
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে, রোববার ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার উপপ্রধান হাসান মোহাক্কিক নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার
এছাড়া হামলায় আরও একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরী নিহত হন বলে জানিয়েছে ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাগুলো।
এই হামলা ইসরায়েলের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে চালানো বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অংশ, যা শুরু হয় ১৩ জুন ভোরে। ইসরায়েল জানায়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু করেছে।
এর আগে হামলায় ইরানের একাধিক পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সামরিক নেতার বাড়িতে নির্ভুল আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি পক্ষ দাবি করেছে, এসব হামলা 'অস্তিত্বগত হুমকি নির্মুলের অংশ'।
এদিকে আধা সরকারি সংবাদ মাধ্যম তাসনিমের খবরে বলা হয়, রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি এবং জেনারেল হাসান মোহাক্বিক ও মোহসেন বাঘেরি তেহরানে এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।