১১ হাজার মে.টন চাল নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রামে
Published: 13th, February 2025 GMT
ভারত থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে পৌঁছেছে এইচটি ইউনিট নামের একটি কার্গো জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাহাজটি বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে নোঙ্গর করেছে। আগামীকাল দুপুরের মধ্যে জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভিড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা জানান, ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল কেনা হয়েছে। প্যাকেজ-৫ এর আওতায় কেনা এই চালের প্রথম চালানে ১১ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল নিয়ে পানামার পতাকাবাহী এইচটি ইউনিট কার্গো জাহাজ বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে পৌঁছেছে। আগামীকাল থেকেই জাহাজ থেকে চাল খালাসের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিদূর্শী চাকমা বলেন, “ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ধামরা বন্দরে বাংলাদেশের জন্য এই চাল জাহাজে লোড হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। ইতিমধ্যে চালের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে জাহাজটি বন্দর জেটিতে ভিড়ানোর সম্ভাবনা আছে। এরপর শুরু হবে চাল খালাস। পরবর্তী ধাপে ভারত থেকে আরও ৩৯ হাজার টন চাল দেশে আসবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে লিওনেল মেসি ও তার দল ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যানকুভার এফসি। বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা), মায়ামির চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দর্শকদের উপহার দেওয়া হয় গোল, নাটক এবং ৩২টি ফাউলের নাটকীয় এক সন্ধ্যা।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জয় পেয়ে আগেই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভ্যানকুভার। তাই দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মায়ামির জন্য লক্ষ্যটা ছিল বেশ কঠিন, কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জয়। কিন্তু সেই লক্ষ্য অধরাই থেকে গেল। উল্টো ৩-১ গোলের হার সইতে হলো ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে উড়েই ফাইনালে উঠে যায় কানাডার ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির জন্য আশা জাগানিয়া ছিল। নবম মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের দারুণ কম্বিনেশনের ফসল হিসেবে জর্ডি আলবা গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলের লিডে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।
আরো পড়ুন:
দুয়োতে ম্যাচ হেরে কনফাকাফ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় মেসিরা
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নামে ভ্যানকুভার। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এরপর মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান পেদ্রো ভিতে। এরপর ম্যাচে ফিরে আসার অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি মেসির দল।
৭১ মিনিটে ভ্যানকুভারের হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন সেবাস্তিয়ান বারহেল্টার। যা ম্যাচের নিয়তি নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ইন্টার মায়ামি একাধিকবার আক্রমণ করলেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ও শক্ত রক্ষণদেয়াল ভাঙতে ব্যর্থ হয়।
ম্যাচটিতে দুই দলই ১৬টি করে ফাউল করে। যা মিলিয়ে মোট ফাউলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। ইন্টার মায়ামি ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল অন টার্গেটে এবং মাত্র একটিই জালে ঠাঁই পায়। অন্যদিকে, ভ্যানকুভারের ১০টি শটের ৬টিই লক্ষ্যে ছিল এবং এর মধ্যে তিনটি জালে জড়ায়।
এই হারের ফলে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হলো মেসি-সুয়ারেজদের। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকিট কাটলো ভ্যানকুভার এফসি।
ঢাকা/আমিনুল