৪৪তম বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে করণীয়
Published: 14th, February 2025 GMT
বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেলে ভালো ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মৌখিক পরীক্ষার শুরুতেই প্রার্থীর নিজের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে। তাই নিজের নামের অর্থ, বংশের পদবি থাকলে সেটির অর্থ ও নিজের পূর্বপুরুষদের নাম জেনে নিতে হবে। আপনার নামের সঙ্গে মিল আছে, এমন বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম ও কীর্তি, নিজ গ্রাম, থানা ও জেলার সাধারণ তথ্য যেমন নামকরণের ইতিহাস, প্রাচীন জনপদে অবস্থান, আয়তন ও জনসংখ্যা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
নিজ জেলা ও আশপাশের বিখ্যাত এলাকা বা পর্যটন স্থানের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা, নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ তথ্য যেমন কত সালে স্থাপিত, স্থাপনার পেছনের ইতিহাস, বর্তমান প্রতিষ্ঠান প্রধান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। নিজের পঠিত বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যাবেন। আপনার পঠিত বিষয় দেশে কীভাবে ভূমিকা বা অবদান রাখছে, সেটির ইতিবাচক উত্তর প্রস্তুত রাখতে হবে।
বিশেষ কোনো বিষয়ে পড়েও যদি জেনারেল ক্যাডার পছন্দ তালিকায় রাখেন, তবে সেটির জন্য সুন্দর উত্তর আগে থেকে তৈরি রাখুন। যেমন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে আপনি প্রশাসন বা পুলিশ ক্যাডার পছন্দক্রমের শীর্ষে রাখতেই পারেন। কিন্তু কেন রাখলেন, তা সুন্দরভাবে যেন ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিজের পঠিত বিষয় কীভাবে চাকরিক্ষেত্রে কাজে লাগাবেন, সেটির উত্তরও তৈরি রাখুন।
আরও পড়ুনবিসিএসের গেজেট থেকে প্রার্থী বাদ না দেওয়ার আইন করছে পিএসসি১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভাইভা বোর্ডে ‘গল্প, উপন্যাস ও কবিতা জানেন কি না’—প্রশ্নের উত্তরে ‘জানি’ উত্তর দিলে যে যে লেখার রেফারেন্স দেবেন, সেগুলো ভালোভাবে পড়ে যাবেন, যেন পরীক্ষক চরিত্রের বা পটভূমির বিস্তারিত জানতে চাইলে তা বলতে পারেন। সাম্প্রতিক পটভূমিতে জুলাই অভ্যুত্থানে আপনার এলাকার উল্লেখযোগ্য ঘটনা বা নিহতের সংখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ধাপভিত্তিক আন্দোলনে (১৯৪৭-১৯৭১) ছাত্রসমাজের ভূমিকা ও গুরুত্ব, বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে খুব বেশি তথ্য জানতে না পারলেও উল্লেখযোগ্য দু–তিনটি ঘটনা জেনে যাবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কাজের পরিধি ও এ দুটির মধ্যে পার্থক্য দেখে যাবেন। জুলাই বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা, গ্রহণযোগ্যতা, বৈধতা (ডকট্রিন অব নেসেসিটি), চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ ইত্যাদি বিষয় পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের তারিখ, উল্লেখযোগ্য উপদেষ্টাদের নাম ও দপ্তর ও প্রধান উপদেষ্টার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পড়বেন। গ্রামীণ ক্ষুদ্রঋণ, এনজিও, অর্থনীতির বিভিন্ন দিক, থ্রি জিরো ও সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
আরও পড়ুনবিসিএস লিখিত পরীক্ষায় গণিত বাদ দেওয়ার সুপারিশ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫পরীক্ষার আগের রাতে সর্বশেষ ঘটনাগুলোয় চোখ বুলিয়ে যাবেন। অহেতুক দুশ্চিন্তা করবেন না। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। দুশ্চিন্তা বা কম ঘুমানোর প্রভাব চেহারায় পড়বে এবং ভাইভা বোর্ডে ইতিবাচক কিছু আনবে না। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি ফাইলে আগের রাতে গুছিয়ে রাখবেন। সম্ভব হলে আগে থেকেই ক্রম অনুযায়ী সাজিয়ে রাখবেন। পরীক্ষার দিন সকালে জাতীয় দৈনিক থেকে উল্লেখযোগ্য সংবাদগুলো দেখে নেবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ র ব স এস সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, বাবা থানায় আটকা ২৬ ঘণ্টা
ছেলে বিরুদ্ধে হুন্ডির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভ্যানচালক বাবাকে প্রায় ২৬ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় ভ্যানচালক ফজলু প্রামাণিককে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। আজ সোমবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানার গারোদখানায় রয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার খোকসা থানায়। ফজলু উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের ধুসুন্ড গ্রামের বাসিন্দা। তাকে আটক করে থানায় আনেন এসআই তুষার।
ভ্যানচালক ফজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার কথা স্বীকার করেছেন এসআই তুষার। তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধের বিরুদ্ধে গোপন অভিযোগ আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটকে রাখা হয়েছে।’ তবে কী অভিযোগে আছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আপনি ফাউ কথা না বলে, জায়গায় কথা বলতে বলেন।’
ভ্যানচালকের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল গাফ্ফার টোকন নামে এক ব্যক্তি হুন্ডির ব্যবসা করেন। নূর এন্টার প্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হুন্ডির ব্যবসা করেন। আমার ছেলে সজল ওই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করত। সম্প্রতি গাফ্ফারের কাছে বকেয়া বেতন দাবি করায় ছেলের সর্বনাশ হয়েছে। প্রথমে সজলের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন গাফ্ফার। এ টাকা জন্য জমি লিখে দেওয়ার চাপ দেন তিনি। এক পর্যায়ে দুই মাস আগে তার ছেলের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন গাফ্ফার। অভিযোগ মিটিয়ে ফেলার জন্য থানা-পুলিশ সজলের ওপর চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেলে আত্মগোপন করায় রোববার সন্ধ্যায় এসআই তুষার আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নেন। এর পর থেকে তিনি থানার গারদে রয়েছেন।’
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সারাদিন জেলা সদরে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরে জানাব।’