চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা ক্রিকেটাররা এখন দুবাইয়ে, প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাঠে নামার। ফর্মের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দলে জায়গা না পেলেও বসে নেই লিটন দাসও।

বিপিএলের পর কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আজ বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন লিটন। জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আজই টাইগার্সের ক্যাম্প শুরু হয়েছে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দলগুলোর প্রস্তুতি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত টাইগার্সের ক্যাম্প চলবে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ না পাওয়া ও জাতীয় দলের আশপাশে আছেন এমন ক্রিকেটাররা এতে অংশ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ টাইগার্সের এই ক্যাম্প পরিচালনা করছেন দেশি কোচেরা। তত্ত্বাবধানে আছেন সোহেল ইসলাম। শুরুটা ফিটনেসের কাজ দিয়ে হলেও পরে স্কিল অনুশীলন করবেন ক্রিকেটাররা। ১০-১২ দিনের এই ক্যাম্পের বিষয়ে নাফীস বলেছেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের আগের যে সময়টা আছে, তখন যেন জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা অনুশীলনের ভেতর থাকতে পারে। লিগ শুরু হলে সবাই নিজেদের দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করবেন।’

আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া ব্যস্ততা না থাকলেও শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন ব্যস্ততা অনেক। একাডেমি মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাশেই প্রিমিয়ার লিগের অনুশীলন করছেন নারী ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে আজ থেকে টাইগার্স ক্যাম্প শুরু হয়েছে ইনডোরে।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর। পরদিন বাংলাদেশ মাঠে নামবে ভারতের বিপক্ষে। নাজমুল হোসেনদের পরের দুটি ম্যাচ ২৪ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি, যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কেউ চোটে  পড়লে যেন বিকল্প তৈরি থাকে, বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্প তারও প্রস্তুতি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ