নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 16th, February 2025 GMT
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের নীতিগত সংস্কারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি ক্লিন এবং বিডাব্লুজিইডি-এর উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার দ্রুততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মানববন্ধনে পরিবেশ রক্ষা ও সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন,মহাসচিব মীযানুর রহমান বক্তব্য দেন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদন প্রক্রিয়ার ধীরগতি, পর্যাপ্ত প্রণোদনার অভাব এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিবন্ধকতা এ খাতের অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে। তারা বলেন, সুষ্ঠু বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ ট্যারিফ পুনর্বিবেচনা, বাজেট বৃদ্ধি এবং সবুজ উদ্যোগের জন্য উন্নত আর্থিক সহায়তা প্রদান জরুরি।
পরিবেশবিদরা মনে করেন, নারায়গন্জে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা ব্যাপক, তবে নীতিগত সংস্কার না হলে এই খাত কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করতে পারবে না। বক্তারা বলেন, "আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কার্যকর নীতিগত পরিবর্তনের ওপর, যা বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার পথ সুগম করবে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষার্থী, পরিবেশকর্মী এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারাও অংশ নেন। তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইএসএডিএস এর মহাসচিব মীযানুর রহমান, ইএসএডিএস-এর সোনারগাঁ কমিটির সহ-সভাপতি ফজলুল হক ভূইয়া, আবদুল হক, সিফাত প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ
জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।”
চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।
২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা