‘প্রতিদিনই নতুন সুযোগ– শেখার, বড় হওয়ার এবং মজা করার’– এমন প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুলে। উত্তরার দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন স্কুলটির সেক্টর-১৪ ক্যাম্পাসের (ইংরেজি ভার্সন) ছাত্রছাত্রী। গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত শিশুদের মনোমুগ্ধকর ক্রীড়া আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজ দক্ষিণখানের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মান্নান। সেক্টর-১৪ ক্যাম্পাসের উপাধ্যক্ষ মেজর মো.

শায়খুল ইসলামের (অব.) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুলের নির্বাহী অধ্যক্ষ রিফাত নবী আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক চমন আরা বেগম, কো-অর্ডিনেটর সুরাইয়া খানম প্রমুখ। মাঘের শেষ সকালে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ‘বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী ২০২৫’-এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মান্নান। প্রতিযোগিতা পর্বে ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ, পিটি ডিসপ্লে, যেমন খুশি তেমন সাজো এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ মুগ্ধ করে উপস্থিত সবাইকে। অনুপ্রেরণামূলক প্রতিযোগিতার শেষাংশে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ইলস ট ন অন ষ ঠ ত

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ