‘প্রতিদিনই নতুন সুযোগ– শেখার, বড় হওয়ার এবং মজা করার’– এমন প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুলে। উত্তরার দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন স্কুলটির সেক্টর-১৪ ক্যাম্পাসের (ইংরেজি ভার্সন) ছাত্রছাত্রী। গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত শিশুদের মনোমুগ্ধকর ক্রীড়া আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজ দক্ষিণখানের অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মান্নান। সেক্টর-১৪ ক্যাম্পাসের উপাধ্যক্ষ মেজর মো.

শায়খুল ইসলামের (অব.) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুলের নির্বাহী অধ্যক্ষ রিফাত নবী আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক চমন আরা বেগম, কো-অর্ডিনেটর সুরাইয়া খানম প্রমুখ। মাঘের শেষ সকালে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ‘বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী ২০২৫’-এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর এম এ মান্নান। প্রতিযোগিতা পর্বে ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ, পিটি ডিসপ্লে, যেমন খুশি তেমন সাজো এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ মুগ্ধ করে উপস্থিত সবাইকে। অনুপ্রেরণামূলক প্রতিযোগিতার শেষাংশে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ইলস ট ন অন ষ ঠ ত

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ