সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের টানা ৪৮ ঘণ্টার বৃহৎ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ। কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দাবি বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগসহ বিশ্ব পরিমন্ডলে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার এই কর্মসূচী পালন করা হবে।

জানা যায়, তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এর মধ্যে রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু ও গঙ্গাচড়া মহিপুর বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীর বুকে রংপুরের কর্মসূচী পালিত হবে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে তিস্তার মহিপুরে কর্মসূচীকে ঘিরে ৩টি বড় বড় প্যান্ডেল করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য, একটি রাত্রি যাপনের এবং একটি খাবার তৈরি ও পরিবেশনের।

লালমনিরহাট কালিগঞ্জের আনিছুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের রাত্রিযাপনের প্যান্ডেল, সমাবেশ ও বিনোদনের জন্য মঞ্চ তৈরি, পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ স্থাপনসহ সকল ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার যদি তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে তবে লাগাতার কর্মসূচী চলবে।

তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা কোন রাজনৈতিক দলের নয় জানিয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, এটি রংপুর বিভাগবাসীর আন্দোলন। এই আন্দোলন জনদাবিতে পরিণত হওয়ায় এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। দু’দিন ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।

বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৭ তারিখ তিস্তাপাড়ের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি জানাতে তিস্তাপাড়ে আসবেন।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ন র জন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেছেন দেশের অন্যতম সফল ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সমকাল পত্রিকায় দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাতীয় দলের নেতৃত্বের বর্তমান কাঠামো তার কাছে কার্যকর মনে হয়নি। তার মতে, তিন সংস্করণে তিনজন অধিনায়ক থাকা দলের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে নতুন অধিনায়ক নিয়োগের প্রক্রিয়াকে দুঃখজনক বলেই অভিহিত করেছেন তামিম। তার কথায়, ‘বিসিবি চাইলে যে কাউকে অধিনায়ক করতে পারে। কিন্তু যেভাবে শান্তকে সরানো হয়েছে, সেটা সম্মানজনক হয়নি। তার সঙ্গে আগেই কথা বলা উচিত ছিল।’

আসন্ন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে অনিশ্চয়তা, বোর্ডের অস্থিরতা এবং হঠাৎ করে অধিনায়ক পরিবর্তনের মতো সিদ্ধান্ত মাঠের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলছে।’ এই অবস্থায় তামিমের পরামর্শ, বোর্ডের উচিত খেলোয়াড়দের আস্থার জায়গা তৈরি করা। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দেওয়া যে– যা কিছুই ঘটুকু বোর্ড তোমাদের সঙ্গে আছে। ‘এই খেলোয়াড়রাই কিন্তু ২০২৬ ও ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলবে’ বলেন তিনি।

তামিমের মতে, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগেও রয়েছে কাঠামোগত দুর্বলতা। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যানের একাদশ গঠনের সিদ্ধান্তে থাকা ঠিক নয়। তার অধীনে তিনজন নির্বাচক আছেন; কোচ, সহকারী কোচ আছেন। সবাইকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এর পর দল ফেল করলে জবাবদিহি চাইবেন। নিজেই সবকিছুতে জড়িয়ে গেলে নির্বাচক, কোচিং স্টাফকে প্রশ্ন করবে কে?’ 

বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান হলে তামিম কী করতেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচক প্যানেল ও কোচিং স্টাফকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতাম। ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতাম। উন্নত কোচিং অভিজ্ঞতার জন্য কাউন্টির সঙ্গে কাজ করতাম, যেন আমাদের কোচরাও বিশ্বমানের কোচিং শিখতে পারেন।’

এছাড়াও বিপিএল ও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগে খেলার বাইরে, অফ সিজনে এক-দু’জন ক্রিকেটারকে কাউন্টিতে পাঠানোর উদ্যোগকে জরুরি মনে করেন তামিম। পাশাপাশি এইচপি, ‘এ’ দল এবং টাইগার্স প্রজেক্টে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বানও জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ