Risingbd:
2025-05-01@00:11:38 GMT

বইমেলায় আবু আককাসের দুই বই

Published: 17th, February 2025 GMT

বইমেলায় আবু আককাসের দুই বই

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ এ প্রকাশিত হয়েছে আবু আককাস আহমেদের দুই বই ‘শুল্ক গোয়েন্দার জীবন’ ও ‘টাইগার সিদ্দিক’।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক আহমেদের জীবন কাহিনী নিয়ে লেখা ‘টাইগার সিদ্দিক’ এবং রহস্য ও গোয়েন্দা বিষয়ক ‘শুল্ক গোয়েন্দার জীবন’ বই দুইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। ৩০০ টাকা মূল্যের বই দুইটি পাওয়া যাচ্ছে অনন্যা প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আককাস আহমেদ একজন সাবেক শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। নেত্রকোণার মুক্তিসেনা (নাড়িয়াপাড়া) গ্রামে ১৯৫৪ সালের ১ মার্চ বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম সৈয়দ আহমেদ তালুকদার ও হরমুজেননেসা তালুকদারের ঘরে জন্ম নেন তিনি। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার অন্য তিনভাইও বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় ‘ডাইনোসর গ্রহে অভিযান’

বইমেলায় ‘মন্তাজ মিয়ার স্বাধীনতা’

আবু আক্কাস আহমেদের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘হুমায়ূন আহমেদ: চেতনার নতুন আকাশ’, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা: ইতিহাস বিকৃতির নিলজ্জ প্রয়াস’ এবং অল্প বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধ: রণাঙ্গন নেত্রকোণা’। 

বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ আর্মি গলফ ক্লাব, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তিনি আজীবন সদস্য এবং খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কারের পৃষ্ঠপোষক।

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল আহম দ বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ