ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে ধরলেন সার্জেন্ট মামুন
Published: 17th, February 2025 GMT
মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে তার পিছে পিছে দৌড়ে শেষপর্যন্ত তাকে আটক করেছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট আল মামুন।
ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়ে বাস থেকে মোবাইল ছিনিয়ে পালানোর সময় ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে ধরেন আল মামুন। পুলিশের এই কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের কর্মরত।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান রাইজিংবিডি ডটকমকে বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে যুবলীগ-ছাত্রলীগের আরো ৩৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নোয়াখালীতে ইউপি সদস্যকে মারধর করল যুবদল-ছাত্রদল
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিএমপি ঘটনার বিবরণে জানিয়েছে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বাসে ওঠার সময় এক যাত্রীর পকেট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন এক যুবক। তখন ধাওয়া দিয়ে আটক করা ছিনতাইকারীকে গেন্ডারিয়া থানার এসআই রিপনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক ছিনতাইকারীর নাম কালাম, তার বয়স ৪২ বছর। তার কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধারের পর সেটি ওই বাসের যাত্রী খন্দকার আশরাফুলকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, বলা হয়েছে ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দয়াগঞ্জ মোড়ে কর্তব্যরত সার্জেন্ট আল মামুন সাহসিকতার সঙ্গে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে হাতেনাতে আটক করেন।
ট্রাফিক সার্জেন্ট আল-মামুন বলেছেন, “আমরা প্রায়ই শুনি, দয়াগঞ্জ মোড়ে চলন্ত বাস থেকে, কখনো যাত্রী ওঠা-নামানোর সময় ছিনতাই হয়। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। এসব ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।”
ঢাকা/মাকসুদ/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল ম ম ন র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’