নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন অস্কার জয়ী অভিনেত্রী কেট উইন্সলেট। নেটফ্লিক্সের 'গুডবাই জুন'-চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করছেন  তিনি। পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনা ও এতে অভিনয়ও করবেন কেট।

কেট ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন টনি কোলেট, জনি ফ্লিন, অ্যান্ড্রিয়া রাইজবোরো, টিমোথি স্প্যাল ও হেলেন মিরেন। ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন উইন্সলেটের ছেলে জো অ্যান্ডারস।

কেটের সঙ্গে সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন কেট সলোমন।

কেটের নতুন সিনেমা 'লি'-এরও প্রযোজক ছিলেন সলোমন। সিনেমাটি মডেল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফটোগ্রাফারে পরিণত হওয়া মার্কিন আলোকচিত্রী এলিজাবেথ লি মিলারের বায়োপিক। কেট এতে এলিজাবেথ লি মিলারের ভূমিকায় অভিনয় করেন।

কেট এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন পেয়েছেন এবং 'লি' বছরের সেরা ব্রিটিশ চলচ্চিত্র বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।

নেটফ্লিক্স 'গুডবাই জুন'কে একটি 'মর্মস্পর্শী, তবে হাস্যকর' হিসেবে বর্ণনা করেছে। শিগগিরই যুক্তরাজ্যে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

এর আগে 'লি' সিনেমার প্রচারণার সময় 'হাউ টু ফেইল' পডকাস্টে এলিজাবেথ ডে'র সঙ্গে আলাপকালে কেট জানান, আগে না চাইলেও এখন তিনি ক্যামেরার পিছনে কাজ করতে চান।

তিনি জানান, এতদিন অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতেন কেন আমি সিনেমা পরিচালনা করছি না। এতদিন আমি এই অনুরোধ করতে নিষেধ করতাম।

নারী পরিচালকদের উদ্দেশে কেট বলেছেন, আমরা যত বেশি এটা (পরিচালনা) করব, তত বেশি অন্যরা এই কাজে আসার অনুপ্রেরণা পাবে।

'লি' ছাড়াও কেট সম্প্রতি এইচবিওর লিমিটেড সিরিজ 'দ্য রেজিম'-এ অভিনয় করেন। এতে অভিনয়ের জন্যও তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং একই অনুষ্ঠানে একাধিক চরিত্রের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।

২০০৯ সালে 'দ্য রিডার' ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জেতেন কেট উইন্সলেট।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ