বাংলাদেশ ম্যাচের আগে রোহিতের পা ভাঙার চেষ্টা করলেন যে বোলার
Published: 18th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারত তাদের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে খেলবে, তা সবার জানা।
টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গত শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের শহরটিতে পা রেখেছে ভারতীয় দল। আগামী বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের অভিযান।
বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে গত রবি ও সোমবার আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে ভারতীয় দল। যেহেতু নাজমুল–তাসকিন–মুশফিকদের বিপক্ষে ম্যাচটা দিবা–রাত্রির, তাই গতকালের অনুশীলন সেশন হয়েছে ফ্লাডলাইটের আলোয়।
সেই অনুশীলনে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বেশ ভুগিয়েছেন অখ্যাত এক ফাস্ট বোলার। নাম তাঁর আওয়াইস খান। স্থানীয় এই বোলার নেটে রোহিতকে এতটাই ঝামেলায় ফেলেছেন যে রোহিত তাঁর গুণমুগ্ধ হয়ে গেছেন। কোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারতকে তৃতীয়বারের মতো নেতৃত্ব দিতে যাওয়া রোহিত এটাও মজা করে বলেছেন, আওয়াইস তাঁর পা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছেন।
অনুশীলন শেষে আওয়াইসের সঙ্গে দেখা করে রোহিত বলেছেন, ‘দারুণ বোলার। তুমি তো ইনসুইংগিং ইয়র্কার দিয়ে আমার জুতা.
এ সময় আওয়াইস বলেন, ‘আপনার বিপক্ষে বল করে আমিও মজা পেয়েছি।’
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ইনসুইংগিং ইয়র্কারে রোহিতকে অতীতেও বেগ পেতে হয়েছে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের এ ধরনের ডেলিভারিতে এলবিডব্লু হন রোহিত। ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও শাহিন আফ্রিদির একই ধরনের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন।
দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন রোহিত শর্মাউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব