নাঈম ভাই, হেনা কোথায়, জানতে চেয়েই কাঁদতে লাগলেন বাপ্পারাজ!
Published: 19th, February 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ‘চাচা বাড়িঘর এত সাজানো কেন?’, ‘চাচা হেনা কোথায়?’ চিত্রনায়ক বাপ্পারাজের কণ্ঠে এই সংলাপ নিয়ে নেটিজেনরা বেশ মজা করছেন। এবার এ বিষয়ে নিয়ে এক ফানি ভিডিও বানিয়েছেন অভিনেত্রী শাবনাজের (হেনা) স্বামী চিত্রনায়ক নাঈম।
ভিডিওতে দেখা যায়, অভিনেত্রী শাবনাজ, চিত্রনায়ক নাঈম, বাপ্পারাজ সহ আরও কয়েকজনকে। যেখানে ভিডিওতে চিত্রনায়ক নাঈমকে বাপ্পারাজ প্রশ্ন করছেন, ‘নাঈম ভাই, হেনা কোথায়?’
এরপর নাঈম বলেন, ‘বাপ্পা তুমি অনেক দেরি করে ফেলেছো হেনার সঙ্গে আমার অনেক আগে নিয়ে হয়ে গেছে।’ এই ভিডিও নিয়ে নেটিজেনরাও বেশ মজা করছেন। কমেন্ট বক্সে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘অসাধারণ অভিনয় করলেন নায়ক বাপ্পারাজ ভাই ও নাঈম ভাই তার উপর শাবনাজ আপা আপনাদেরকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
আরেকজনের ভাষ্য, ‘অবশেষে হেনার কাহিনীর সমাপ্ত ঘটলো। শুভকামনা রইল নায়ক নাঈম আর নায়িকা শাবনাজ এবং বাপ্পারাজ কে আরো অনন্য শিল্পবৃন্দকে। আগের দিনগুলো খুবই ভালো ছিল। ভালো থাকবেন সবসময় দোয়া রাখবেন।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন বাপ্পারাজ ও শাবনাজ। সিনেমাটিতে হেনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবনাজ। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ, যিনি ১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন। তার আসল নাম সাবরীনা তানিয়া।
১৯৯৬ সালে ‘নির্মম’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান। অন্যদিকে বাপ্পারাজ ঢাকাই সিনেমার নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাপ্পারাজ উপহার দিয়েছেন অনেক হিট সিনেমা। তবে জনপ্রিয় এই অভিনেতা ত্রিভুজ প্রেমের ট্র্যাজিডির গল্প নিয়ে সিনেমায় বেশি অভিনয় করেছেন। যে কারণে দর্শক মহলে ‘ট্র্যাজেডি নায়ক’ ও ‘ব্যর্থ নায়ক’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩
তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ