জাহিদ সোহাগের কবিতার বই ‘চেয়ারের মুখোমুখি’
Published: 20th, February 2025 GMT
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জাহিদ সোহাগের কবিতার বই ‘চেয়ারের মুখোমুখি’। বইটি প্রকাশ করেছে সাহিত্যপত্রিকা শব্দগুচ্ছ।
শব্দগুচ্ছ এবছর ৩ জন তরুণ কবির পাণ্ডুলিপি নির্বাচন করে বই আকারে প্রকাশ করেছে। ‘চেয়ারের মুখোমুখি’ জাহিদ সোহাগের ১২তম কবিতার বই। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। মূল্য ২০০ টাকা। পাওয়া যাবে বইমেলার নালন্দা, শব্দগুচ্ছ, অনুভব ও কাগজ প্রকাশনের স্টলে।
শব্দগুচ্ছর সম্পাদক ও প্রকাশক কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘বাংলা কবিতায় এই সময়ে যাদুবাস্তবতার যে রূপ ফুটে উঠছে তা জাহিদ সোহাগের কবিতায় স্পষ্ট। তাঁর চিত্রকল্প, উপমা, বুনন ও শব্দপ্রক্ষেপণের ধরন আলাদা।’’
আরো পড়ুন:
বইমেলায় শাহ্ আলমের ‘হৃদয়ে জুলাই ৩৬’
বইমেলায় ‘চলতি পথের বাঁকে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
জাহিদ সোহাগ বলেন, ‘‘কবিতার বই নিয়ে প্রায় কিছুই বলার থাকে না, নেইও, এবং এই বইটিও প্রায় শব্দহীন, নিরব।’’
জাহিদ সোহাগ একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী ও সাংবাদিক। তার জন্ম ১৯৮৩ সালের ১০ মার্চ, মাদারীপুর জেলা সদরের কুলপদ্বী গ্রামে। তার প্রকাশিত বইয়ের তালিকায় রয়েছে- কবিতার বই: ‘আর্তনাদও এক বায়বীয় ঘোড়া’, ‘অসুখের শিরোনাম’, ‘দুপুর’, ‘ব্যক্তিগত পরিখা’, ‘ব্যাটারি-চালিত ইচ্ছা’, ‘নামহীন’, ‘অহেতু বুদ্বুদ’, ‘কয়েকটি সূর্য পেরিয়ে’, ‘রোদের ফালি তরমুজে’, ‘লুণ্ঠিত একা’, ‘প্রায় শূন্য’। নাট্যসংকলন: নিহত দিনের নাট্য; ছোটগল্প: বড়দের মাছমাংস; উপন্যাস: সে ও তার শুয়োর; শিশুতোষ: পান্তা চোরের গল্প; সম্পাদনা: তিন বাংলার শূন্যের কবিতা।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।