অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে জাহিদ সোহাগের কবিতার বই ‘চেয়ারের মুখোমুখি’। বইটি প্রকাশ করেছে সাহিত্যপত্রিকা শব্দগুচ্ছ। 

শব্দগুচ্ছ এবছর ৩ জন তরুণ কবির পাণ্ডুলিপি নির্বাচন করে বই আকারে প্রকাশ করেছে। ‘চেয়ারের মুখোমুখি’ জাহিদ সোহাগের ১২তম কবিতার বই। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। মূল্য ২০০ টাকা। পাওয়া যাবে বইমেলার নালন্দা, শব্দগুচ্ছ, অনুভব ও কাগজ প্রকাশনের স্টলে।

শব্দগুচ্ছর সম্পাদক ও প্রকাশক কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘বাংলা কবিতায় এই সময়ে যাদুবাস্তবতার যে রূপ ফুটে উঠছে তা জাহিদ সোহাগের কবিতায় স্পষ্ট। তাঁর চিত্রকল্প, উপমা, বুনন ও শব্দপ্রক্ষেপণের ধরন আলাদা।’’

আরো পড়ুন:

বইমেলায় শাহ্ আলমের ‘হৃদয়ে জুলাই ৩৬’

বইমেলায় ‘চলতি পথের বাঁকে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

জাহিদ সোহাগ বলেন, ‘‘কবিতার বই নিয়ে প্রায় কিছুই বলার থাকে না, নেইও, এবং এই বইটিও প্রায় শব্দহীন, নিরব।’’

জাহিদ সোহাগ একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী ও সাংবাদিক। তার জন্ম ১৯৮৩ সালের ১০ মার্চ, মাদারীপুর জেলা সদরের কুলপদ্বী গ্রামে। তার প্রকাশিত বইয়ের তালিকায় রয়েছে- কবিতার বই: ‘আর্তনাদও এক বায়বীয় ঘোড়া’, ‘অসুখের শিরোনাম’, ‘দুপুর’, ‘ব্যক্তিগত পরিখা’, ‘ব্যাটারি-চালিত ইচ্ছা’, ‘নামহীন’, ‘অহেতু বুদ্বুদ’, ‘কয়েকটি সূর্য পেরিয়ে’, ‘রোদের ফালি তরমুজে’, ‘লুণ্ঠিত একা’, ‘প্রায় শূন্য’। নাট্যসংকলন: নিহত দিনের নাট্য; ছোটগল্প: বড়দের মাছমাংস; উপন্যাস: সে ও তার শুয়োর; শিশুতোষ: পান্তা চোরের গল্প; সম্পাদনা: তিন বাংলার শূন্যের কবিতা।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ